বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » জয়ের জরিপ ‘সুখবর’ বললেও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে মাত্র ৭৫ আসন!
জয়ের জরিপ ‘সুখবর’ বললেও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে মাত্র ৭৫ আসন!
পক্ষকাল ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন আগামী নির্বাচনে ২০০৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও বেশি ভোট পাবে আওয়ামী লীগ।
জয় তার ব্যক্তিগত জরিপের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমার জরিপের রেজাল্ট এত ভালো আসছে যে আজকে যদি নির্বাচন হয় আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের চেয়েও বেশি ভোট পাবে। ২০০৮ সালের চেয়েও বিপুল ল্যান্ডস্লাইড হবে আওয়ামী লীগের পক্ষে। এটা একদম সায়েন্টিফিকলি জরিপ করে আমরা বের করেছি। জরিপটা আমি প্রত্যেক বছরই করি। সেটা আমার একটা প্রফেশনাল কোম্পানি আছে, তাদেরকে দিয়েই করাই। জরিপটা আমি নিজেই ডিজাইন করি, মনিটর করি। এর ওপর আমি স্টাডি করেছি, ক্লাসও করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের জরিপ হচ্ছে ওয়ান অব দ্য মোস্ট একিউরেট সারা দেশে। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবেই। আওয়ামী লীগকে ভোটে হারানোর মতো দল আর বাংলাদেশে নাই।
জয় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবেই এমন দাবি করলেও জয়ের এই জরিপের ফলাফল নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। জয়ের এই তথ্য নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাস্তবতার সঙ্গে জয়ের এই তথ্যের কোনো মিল নেই বলে মনে করছেন রাজনীতিক বিশ্লেষক, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও সিনিয়র সাংবাদিকরা।
এদিকে, সোমবার দেয়া জয়ের এই বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এনালাইসিস বিডির পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১৫ জন লোকের সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। এরমধ্যে যদি আগামীতে নির্বাচন হয় তাহলে ৭ জন বিএনপি, ৩ জন আওয়ামী লীগ, ১ জন জামায়াত ও ১ জন জাতীয় পার্টিকে ভোট দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। আর বাকী ৩ জন কোনো মন্তব্য করেন নি। তবে, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে, ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় গত ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে একটি আর্টিক্যাল প্রকাশ করা হয়েছে। সাংবাদিক জয়তী মালহোতরা এখানে সরকারের অনেক ব্যর্থতা তুলে ধরেছেন। সাম্প্রতিক সময়ের বিশেষ করে গত নভেম্বর মাসের গুম-অপহরণের ঘটনাগুলো তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বিদায় করে শেখ হাসিনার সরকার যে বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছেন।