শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ » মদপানে টালমাটাল বৃটেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে
মদপানে টালমাটাল বৃটেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে
পক্ষকাল ডেস্ক ঃবৃটিশদের কাছে শুক্রবারটা ছিল ‘ম্যাড ফ্রাইডে’ অর্থাৎ মাতাল শুক্রবার। বড়দিনের আগে এ দিনটিতে বৃটিশরা যেন মাতাল হয়ে পড়েছিলেন। এ দিনটিকে উদযাপন করেছে পুরো বৃটেন। তবে এর মাত্রা ছিল অন্যরকম। দিবাগত রাতে মদ পান চলে গিয়েছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ব্রাডফোর্ড, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে মদ্যপ লোকজন হামলা করেছে পুলিশের ওপর।
এমনই একজন পুলিশ হলেন সার্জেন্ট অ্যালেক্স আর্টিস। তার মাথায় বড় একটি ক্ষত হয়েছে। তা থেকে রক্তে সয়লাব তার মাথা। রাস্তায় দেখা গেছে মদ পান করে বেসামাল যুবক, যুবতী।
তাদের পোশাক কোথায় কিভাবে আছে সেদিকে খেয়ালই ছিল না। অনেকে এমন পোশাক পরেছিলেন, যার ভিতর দিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো দৃশ্যত অনাবৃত হয়ে পড়ে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, মদ পানের অনুষ্ঠান ও পরবর্তী পরিস্থিতি চলে গিয়েছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ সময় ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের দু’জন পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায় এসব মদ্যপ। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সার্জেন্ট অ্যালেক্স আর্টিস লিখেছেন, ম্যাড ফ্রাইডে নিজেই যেন দুঃখজনক এক নামে পরিণত হয়েছে। দু’ঘন্টায় আমার তিনজন অফিসার অবমাননার শিকার হয়েছেন।
হাসপাতালে তাদের দু’জনের সঙ্গে বসে আছি। তাদের একজনের সম্ভবত হাত ভেঙে গেছে। একজনের মাথায় ভয়াবহ ক্ষত হয়েছে। হামলাকারীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এমন অবস্থায় তো আমরা কাজ করি নি কখনো! ডেইলি মেইলের ছবিতে দেখা যায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় বেশ বড় ধরনের একটি ক্ষত। তা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন অন্য পুলিশ সদস্যরা। এ অবস্থায় ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের পুলিশের সুপারিনটেন্ডেন্ট সারাহ বেকার বলেছেন, অ্যালেক্স এ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অ্যালেক্সকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, আমি জানি আপনি অন্যদের ভালমতো দেখাশোনা করবেন। ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের লিডসে ম্যাড ফ্রাইডে উদযাপনের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে কিছু প্যারামেডিক চিকিৎসক এক ব্যক্তিকে রাস্তায় চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাকে শুইয়ে নেয়া হয়েছে রাস্তার ওপরই। মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়েছেন। মদ পানকারী অন্যরা রাস্তায় বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। কেউবা বমি করে ভাসিয়ে দিচ্ছেন রাজপথ। এ অবস্থা সামাল দিতে জরুরি সেবা সার্ভিসগুলোকে হিমশিম খেতে হয়েছে।