মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » » সাপাহার সীমান্তে বিজিবির নিরব থাকায় কৃষকেরা হতাশ!
সাপাহার সীমান্তে বিজিবির নিরব থাকায় কৃষকেরা হতাশ!
সুদাম চন্দ্র, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা সীমান্তে চোরাকারবারীদের ভারতীয় গরু,মহিষের পদচারণায় শতাধীক কৃষকের কয়েকশ’বিঘা জমির সরিষা ফসল নষ্ট হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হলেও সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর নিরব ভুমিকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কৃষককুল হতাশ।
জানা গেছে এবারের বর্ষায় সর্বগ্রাসী বন্যায় ওই এলাকার কৃষকের আমন চাষাবাদ সমুলে ক্ষতি সাধন হওয়ায় কৃষকগন তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে সর্বস্ব খুইয়ে যখন একচেটিয়াভাবে সমস্ত জমিতে সরিষার চাষাবাদ করে। তখন চোরাই পথে হরহামেশে ভারত থেকে গরু মহিষ আনা অব্যহত থাকায় প্রতি রাতে চোরাকারবারীদের অত্যাচার ও গরু মহিষের পদচারনায় তাদের সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
প্রতি রাতেই চোরাকারবারীরা ওই সীমান্ত দিয়ে শত শত গরু মহিষ কৃষকের ফসলের মাঠের উপর দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে আনছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককুল জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ওই এলকার কৃষকগন তাদের ফসল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কলমুডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ জানালে বিজিবি সদস্যরা তাদের বলে নিজের ফসল নিজেকে রক্ষা করতে হবে,যখন আবার রাতে তারা চোরাকারবারীদের হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য মাঠে পাহারা দিতে গেলে টহল রত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে চোরাকারবারী বলে ধমক দিয়ে মাঠ থেকে তেড়ে বাড়ীতে পাঠায়।
এ অবস্থায় মাঠের ফসল রক্ষায় তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা ভেবে না পেয়ে হতাশায় ভুগছে। ভারতীয় গরু-মহিষের পদচারণায় কৃষকের ক্ষতির চিহৃ দেখতে সরেজমিনে সম্প্রতি সাপাহার প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক ওই এলাকায় গেলে কলমুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক, জালাল উদ্দীন,হাবিবুর রহমান, আঃ খালেক শাহিন আলম, ফারুক হোসেন, সোলাইমান আলী, সাইদুর রহমান, ইয়াছিন আলী, আঃ রশিদ, আফজাল হোসেন, মামুন হোসেন, কছিমুদ্দীন, ও আলোম সহ শত শত কৃষক সাংবাদিকদের সামনে তাদের ক্ষতির কথা স্মরণ করে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন ও সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর প্রতি নান অভিযোগ তুলে ধরে জোরালো ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি কৃষকের বক্তব্য অস্বিকার করে বলেন যে, আমরা বিজিবি সংখায় অনেক কম, চোরাকারবারীদের কবল থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার জন্য আমরা সবসময় কৃষকের সহযোগীতা চেয়েছি কিন্তু কৃষক আমাদের কোন সহযোগীতা না করে উল্টো আমাদেরকে দোষারোপ করছে। কৃষকের সহযোগীতা পেলে প্রয়োজনে আমারা চোরাকারবারীকে রুখতে পারবো এবং একটি পাখিও ভারত থেকে আসতে দিবনা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে কৃষকের সাথে একত্বতা প্রকাশ করেন এবং বিজিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চোরাকারবারীদের কবল থেকে কৃষককুল তাদের মাঠের ফসল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেক কামনা করেছেন।