শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » প্রথম ধাপে ৪৫০ হিন্দু রোহিঙ্গা নিচ্ছে মিয়ানমার
প্রথম ধাপে ৪৫০ হিন্দু রোহিঙ্গা নিচ্ছে মিয়ানমার
পক্ষকাল সংবাদ ঃআগামী ২২ জানুয়ারি রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৪৫০ হিন্দু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে যাচ্ছে মিয়ানমার। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা ফেরত কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছে দেশটি।
রাখাইনের তাউংপিওলেইওয়েই অঞ্চলে ইতিমধ্যে একটি শরণার্থী শিবির স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে থাকা মিয়ানমারের যেসব স্থলপথে ফিরবে, তাদের ওই শরণার্থী শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া দ্বিতীয় একটি আশ্রয় শিবির স্থাপন করা হয়েছে মংডুর গাখুয়া অঞ্চলে। যারা সমুদ্রপথে ফিরবে, তাদের জন্য করা হয়েছে এটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানী নাইপিদোতে মিয়ানমারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে এক আলোচনা শেষে এই ঘোষণা দেন দেশটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে। থাইল্যান্ড-ভিত্তিক বার্মিজ গণমাধ্যম ডেমোক্রেটি ভয়েস অব বার্মা এই তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের একজন সিনিয়র কূটনৈতিক বলেন, ‘প্রত্যাবর্তন চুক্তির দুই মাসের মধ্যেই আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা লোকদের ফিরিয়ে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।’
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকার সঙ্গে একটি চুক্তি সই করে নেইপিদো। চুক্তি অনুসারে, দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে।
প্রথম ধাপে মিয়ানমার এক লাখ রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ধাপে কতজন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়া হবে- সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে হিন্দু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদনপত্র পাঠিয়েছে মিয়ানমার। অবশ্য মুসলিম শরণার্থীদের জন্য এখনো তেমন কোনো আবেদনপত্র পাঠানো হয়নি।
এর আগে রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে আশ্রয় নেয়া হিন্দু রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িতে ফিরে আসে। রাখাইন রাজ্য সরকারের অনুরোধে তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসে।
ম্যাগ হ্লা নামের স্থানীয় এক হিন্দু নেতা জানান, পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় হিন্দুদের ফিরে আসার জন্য রাখাইন সরকারই অনুরোধ জানিয়েছে। স্থানীয় সরকার হিন্দুদের জন্য খাদ্য, আশ্রয় এবং নিরাপত্তাদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দাবি, রাখাইনে অন্যায় কিছু করেনি তারা। অবশ্য জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এছাড়া মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ‘মিয়ানমারে গণহত্যার বিষয় উড়িয়ে দেয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন।