শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার | সম্পাদক বলছি » দুর্নীতির সরল স্বীকারোক্তি
দুর্নীতির সরল স্বীকারোক্তি
পক্ষকাল?জসিম উদ্দিনঘুষ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি জাগরণের সূচনা হতে পারত। সরকারের উচ্চপর্যায়ের কেউ দুর্নীতি নিয়ে এভাবে সরল সাধারণ স্বীকারোক্তি এর আগে কেউ আর দেননি। নুরুল ইসলাম নাহিদ তার বক্তব্যটি পরে কিছুটা ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও একটি ব্যাখ্যা দিয়ে তার আগের দেয়া বক্তব্যের ধার অনেকটাই ভোঁতা করে দেয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে গণশিক্ষা মন্ত্রী লুটপাট নিয়ে আরেকটি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ওই বক্তব্যটি একেবারে সরল স্বীকারোক্তি বলা যায় না। কারণ, তিনি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করার একপর্যায়ে নিজেদের দলীয় লুটপাটের বিষয়টি উত্তেজনার মধ্যে স্বীকার করেন।
শিক্ষার ক্ষেত্রে এলোপাতাড়ি কর্মচাঞ্চল্য চলেছে বিগত কয়েক বছরে। হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এই ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ ও প্রমাণ উপস্থাপন করা হলেও শিক্ষামন্ত্রী এগুলো পাত্তা দেননি। এ ব্যাপারটি টিআইবির পক্ষ থেকে এখন স্মরণ করিয়ে দেয়ার মোক্ষম সুযোগ হলো। দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানটি নুরুল ইসলাম নাহিদকে পদত্যাগ করারও আহ্বান জানাচ্ছে। ‘সহনশীলমাত্রায় ঘুষ নেয়ার পরামর্শ দান ও ঘুষ নেয়ায় বাধা দেয়ার সাহস নেই’ মন্ত্রীর এই বক্তব্যের কারণে টিআইবি ওই আহ্বান জানিয়েছে।
নিজেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে ঘোষণা দেয়া সাহসিকতার পরিচায়ক হতে পারে; তবে এ সৎ সাহসের যথার্থতার স্বার্থেই নৈতিক অবস্থান থেকে তিনি পদত্যাগ করে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, এমন প্রত্যাশা টিআইবি করেছে। নৈতিক কারণে বাংলাদেশে কোনো মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এমন নজির সম্ভবত নেই। নুরুল ইসলাম নাহিদ নিজে একটি আদর্শিক লড়াইয়ে রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দেয়ার সঙ্কল্প করেছেন, যাতে জাতি ধন্য হবে। পদত্যাগ করলে এমন উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। এ লক্ষ্য অর্জনে তার বিকল্প কোনো লোক তিনি সম্ভবত পাবেন না। তিনি পদত্যাগ করলেই যে সরকার তার অনুরূপ আদর্শের একজনকে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করবেন তেমন কোনো নিশ্চয়তাও নেই। সুতরাং পদত্যাগ না করাই নিরাপদ। টিআইবির পক্ষ থেকে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য জাতির জন্য উদ্বেগজনক। এতে কেবল তার বিভ্রান্তি ও হতাশার প্রতিফলন ঘটেছে। এই সুযোগে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন টিআইবির রচিত দুর্নীতিবিষয়ক যেসব প্রতিবেদন তিনি অস্বীকার করেছিলেন সেগুলো সঠিক ছিল।
ঘুষ নেয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে ঘুষের বিনিময়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে ভালো প্রতিবেদন দেন। স্কুল পরিদর্শনে গেলে খাম রেডি করাই থাকে। তবে আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ঘুষ খান, কিন্তু সহনীয় হয়ে খান। কেননা, আমার এটা বলার সাহসই নেই যে, ঘুষ খাবেন না। তা অর্থহীন হবে।’
প্রায় সবখানেই ঘুষ লেনদেন হচ্ছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, খালি যে অফিসাররা চোর, তা না। মন্ত্রীরাও চোর। আমিও চোর। এ জগতে এমনই চলে আসছে। তবে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি কমেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে এ ব্যাপারে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি একটু রেগে গিয়ে বলেন, যারা ওই সব রিপোর্ট করেন, তারা কথাই বুঝেন না। এরপর তার যে ভাষ্য পাওয়া গেল সেটা সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত পরিদর্শন ও নিরীক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। শিক্ষামন্ত্রীর এবারে দেয়া বক্তব্যের সারমর্ম হলো কর্মকর্তারা একসময় পরিদর্শনে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ঘুষ খেতেন। স্কুলে গেলেই খাম ধরিয়ে দিতেন। এখন এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান নেয়া হয়েছে। পরদিন ঠিক প্রায় একই লাইনে নাহিদের বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই ব্যাখ্যায় মন্ত্রণালয় বলতে চেয়েছে নাহিদ অতীতে (আট বছর আগের) উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিআই-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। পাঠক মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য এবং শিক্ষামন্ত্রীর আগে ও পরের বক্তব্য মিলিয়ে দেখতে পারেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যাপারে একটি ক্লিন ইমেজ থাকার উচ্চ প্রচারণা রয়েছে। ঘুষ নিয়ে মন্ত্রীর দেয়া আগে পরের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে তার অবস্থান খাটো হয়ে যায়।
আগের প্রচারিত বক্তব্যের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আরো প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে আর কথাই বলা যাবে না। অবশ্য পরদিন এ ব্যাপারে আরো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকায় সম্পাদকীয়ও লেখা হয়েছে। অনেকে তার পদত্যাগ দাবিও করেছেন। তবে প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সবসময় নাহিদের ব্যাপারে ইতিবাচক। ওই সব সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে নীরবতা পালন করে চলেছে। শিক্ষাকে এক দশক ধরে নৈরাজ্য চললেও নাহিদের জন্য তা খুব চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। বাংলাদেশের মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীদের একটা শ্রেণীর পক্ষ থেকে তার ওপর সব সময় আশীর্বাদ থেকেছে। সেজন্য তার নেতৃত্বে চাপিয়ে দেয়া একতরফা নানা সংস্কার অন্ধভাবে চেপে বসেছে।
যারা অন্যায় ও দুর্নীতি করছে, আবার জোর দিয়ে নিজেদের সাফাই গাইছেন তাদের সাথে নাহিদের পার্থক্য আছে। অস্বীকারকারীদের ভাব এমন যে, তারা পূতপবিত্র। এক টাকার ঘুষ দুর্নীতি ও অন্যায়ের সাথে জড়িত তারা নন। অন্য দিকে আগের যে বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী দিয়েছেন সেটা যদি সত্য হয়, তাহলে নাহিদ কিন্তু অগ্রসর হয়ে গেলেন। আদালত অনেক সময় অন্যায় স্বীকার করে বিনয়ের সাথে ক্ষমা চাইলে বিচারের দণ্ডকে কিছুটা শিথিল করে। ধরেই নেয়া হয় আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী ভবিষ্যতে আর এ অপরাধের সাথে যুক্ত হবেন না। নাহিদ নিজেই বলেছেন মন্ত্রীরাও ঘুষ খায়। তার এই স্বীকারোক্তি বাংলাদেশের রাজনীতির যুগান্তকারী একটি মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারত।
শিক্ষামন্ত্রী কাজের সফলতা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। বাংলাদেশের শিক্ষা নিয়ে গত কয়েক বছর এক বিরাট অপারেশন চালানো হয়েছে। শিক্ষার মান নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা অবগত রয়েছেন। তবে শিক্ষার মানের বিষয়টি তলিয়ে গেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংস্কৃতির কাছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে এর সর্বস্তরে বিস্তার ঘটেছে। অবস্থা এতটাই বেগতিক এখন প্রশ্ন ওঠা উচিত, প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে গোপন রাখা হবে না প্রকাশ্যে আনা হবে। প্রশ্ন যেভাবে ফাঁস হচ্ছে তাতে প্রশ্ন আর গোপন কিছু থাকছে না। তারচেয়ে আগে থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে সবার হাতে ধরিয়ে দেয়া ভালো। এতে গোপনে প্রশ্ন সংগ্রহ করার যে টেনশন সেটা থেকে অভিভাবক ও ছাত্ররা মুক্তি পাবে।
সরল মনে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে কথা বললেও তার আশপাশে মানুষের সততা নিয়ে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বহু সমালোচনা হয়েছে। তিনি আশপাশের মানুষকে কখনো সন্দেহ করতে পারেন না। এদের মধ্যে অনেকে দুর্নীতির জন্য সাজা পেতে যাচ্ছিলেন। পরে দেখা গেছে উল্টো আবার পদন্নোতি পেয়েছেন। অর্থাৎ দুর্নীতিবাজরা পুরস্কৃত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর মাউশি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ইইডি, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর মধ্যে এনসিটিবি অর্থ আগমনের সবচেয়ে বড় খাত। সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, মন্ত্রীর আশপাশে লোকেরা মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা বৃহদাকার এই খরচের ক্রিম খাচ্ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, ১৬ ধাপে ১৭ ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি হয়ে থাকে। চেয়ারম্যান থেকে পিয়ন পর্যন্ত সবাই এ খাত থেকে উপরি পাচ্ছে।
বছরের শুরুতে শিশুদের কাছে বই পৌঁছে দেয়া বিরাট সাফল্য বলে ডাকঢোল পিটানো হয়েছে। বইয়ের ছাপা, কাগজের মান ও বাঁধাই টেকসই কি না তা নিয়ে কথা হয়নি। বইয়ের বিষয়বস্তু নির্বাচন ও রচনার অবস্থা হযবরল। সেটা নিয়েও খুব একটা কথা হয় না। এমনসব পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার সাথে জাতীয় চেতনার কোনো সম্পর্ক নেই। এই ধরনের জগাখিচুড়ি পাঠ তাদের কোনো আদর্শ উপহার দিচ্ছে না। জাতীয়পর্যায়ে নৈতিক অধঃপতনের জোয়ারের পাঠ্যের অবদান রয়েছে। শিশুদের কী শেখানো হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো ধরনের যতœ সতর্কতা জাতির পক্ষ থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে না।
সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি ও কোচিং বাণিজ্য এ দুটোই বাংলাদেশের শিক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শিক্ষক ও ছাত্রদের পাঠদান কোনোভাবে কার্যকর কিছু হচ্ছে না। পাশের সংখ্যা ও ভালো ফলের হার বিস্ময়কর উল্মম্ফন হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষায় যেকোনো ধরনের গুণগত মান অর্জিত হয়নি, সেটা নানাভাবে প্রমাণ হচ্ছে। অন্য দিকে কোচিং সেন্টার জায়গা দখল করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এখন ছাত্ররা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় ঠিক; কিন্তু তারা একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র। ক্লাসে শিক্ষা হয় না; কোচিংয়ে ক্লাস হয়। আসলে সেটাও হয় না; কোচিংয়ে হয় প্রশ্ন ফাঁসের ফিকির। মন্ত্রী জাতিকে উপযুক্ত শিক্ষা উপহার দিতে পারছেন কি না, সেটা বিবেচনা করার উপযুক্ত সময় হয়েছে।
শিক্ষার জন্য নিযুক্ত অন্য আরেকজন মন্ত্রী গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় একটি স্কুলে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আলোচনার একপর্যায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কড়া সমালোচনার একপর্যায়ে বলে ফেলেন, ‘আমরা লুট করে খেলেও কাজ করছি’। তার বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করলে লুটেরাদের দুটি শ্রেণী পাওয়া যায়। তার মতে, এর আগে যারা শাসন করেছে তারা শুধুই লুট করেছে। বর্তমান শাসকেরা শুধু লুট করছেন না; তার সাথে উন্নয়নও করছেন।
যমুনার তীরবর্তী গুঠাইল উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সোলার হারিকেন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তার বক্তব্য অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, চাকরিজীবীদের বেতন বেড়েছে এক শ’ ভাগ। দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষকের আলু, পেঁয়াজ ও ধান অর্থাৎ কৃষিপণ্যের দাম বাড়লেই সাংবাদিক বেটারা দেশ অস্থির করে ফেলে। তোমরা সাংবাদিক বেটারা কী করো সেটাও আমরা জানি। ‘বেটারা’ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হলেও সাংবাদিক কমিউনিটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ লক্ষ করা যায়নি।
নকলের ব্যাপারেও এই মন্ত্রীর একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দীনের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি সেটা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, কোথায় নকল হচ্ছে দেখাতে পারবেন? আমরা শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। শিক্ষার্থীদের সোলার হারিকেন, বই ও শতভাগ উপবৃত্তি দিচ্ছি। তার পরও আমরা নাকি কিছু পারছি না। দেশ নাকি রসাতলে যাচ্ছে। তিনি আবার নাকি রাষ্ট্র বিজ্ঞানী। উনারা তো বাংলাদেশের দিকে তাকান না। তারা তো পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাই এ দেশের উন্নয়নের জোয়ার তারা দেখতে পান না।
বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এক সময় সার নিতে হলে জমির কাগজ দেখাতে হতো। এখন সার কৃষক নিজে খাক, গরুকে খাওয়াক আর যাই করুক কোনো কৈফিয়ত দিতে হয় না। আপনি লুটের কথা বলেন। আমরা লুট করে খেলেও কাজ করছি।’ এভাবে তিনি নিজেদের লুটপাটের কথাটি স্বীকার করেন। এই ধরনের স্বীকারোক্তির একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে পিছু হটলেন তাতে সত্য যেন আবারো লুকিয়ে গেল। যাতে সংস্কার ও সংশোধনের পথটি রুদ্ধ হলো আবার।