মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ২০১৮ সাল: বিএনপি’র চক্রান্ত ভেস্তে দিন, ঘরকাটা ইঁদুর শায়েস্তা করুন -তথ্যমন্ত্রী
২০১৮ সাল: বিএনপি’র চক্রান্ত ভেস্তে দিন, ঘরকাটা ইঁদুর শায়েস্তা করুন -তথ্যমন্ত্রী
পক্ষকালসংবাদ ঃ
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নতুন বছরে খালেদা জিয়া-বিএনপি’র নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত ভেস্তে দিয়ে যথাসময়ে নির্বাচন এবং একইসাথে ব্যাংক-বাজার লুটেরা, দলবাজ-দুর্নীতিবাজ ঘরকাটা ইঁদুরদের শায়েস্তা করতে হবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় পাটির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পার্টির চেয়ারম্যান ও পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় তিনি একথা বলেন।
নতুন বছরে জাতির সামনে ছ’টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া-বিএনপি’র নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত ভেস্তে দেয়া, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান, জঙ্গি-জামাত-রাজাকার ও তাদের দোসর বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখা, উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নেয়া, দেশের ইতিহাস-সংস্কৃতির শেখরের সাথে জনগণের ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলা এবং মহাজোটের ছাতার তলে ব্যাংক-বাজার লুটেরা, দলবাজ-দুর্নীতিবাজ-ঘরকাটা ইঁদুর সমতুল্যদের শায়েস্তা করা-এ ছয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মহাজোটের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’
‘একবার মুক্তিযোদ্ধার সরকার, আরেকবার রাজাকারের সরকার-এই মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা আগামী নির্বাচন থেকেই বন্ধ’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইনু বলেন, ‘এ কারণেই আগামী নির্বাচনকে দেখতে হবে যুদ্ধের চশমা দিয়ে।’ দেশে আর যাতে রাজাকারের সরকার না আসে, দেশ যাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের রক্তাক্ত পথে।
এসময় বিএনপি’র কার্যকলাপের সমালোচনা করে জাসদ সভাপতি বলেন, ‘কী ক্ষমতায়, কী ক্ষমতার বাইরে-বিএনপি’র একটিই লক্ষ্য, ৭৫ পর বাংলাদেশকে যেভাবে জবরদখল করা হয়েছিল, সেভাবেই দেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের রক্তাক্ত পথে ঠেলে দেয়া। এ কারণেই তাদের সাথে কোনো মিটমাট নয়।’
‘যারা মিটমাট তত্ত্ব দেন, আসলে তারা গণতন্ত্র ও সামরিকতন্ত্র, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মাঝে দোদুল্যমান। একটু গণতন্ত্র, একটু সামরিকতন্ত্র ও একটু ধর্মতন্ত্র মিলে তারা খিচুড়িতন্ত্র কায়েম করে বিএনপি-জঙ্গি-জামাত-রাজাকারদের গণতন্ত্রে হালাল করতে চায়’, বলেন হাসানুল হক ইনু।
জাতীয় পাটি-জেপি (মঞ্জু) এর মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, জেপি’র অতিরিক্ত মহাসচিব সাদেক সিদ্দিকী প্রমূখ সভায় বক্তব্য রাখেন।