মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » বিএনপি কখনই স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না: দীপু মনি
বিএনপি কখনই স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না: দীপু মনি
পক্ষকাল সংবাদঃবিএনপি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের পুনরুত্থান ঘটিয়েছে। জয় বাংলা বাদ দিয়ে পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ বেতার নাম বাদ দিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় রেডিও বাংলাদেশ করা হয়েছে। জিয়ার শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীরা একে একে ফিরে এসে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় দীপু মনি এসব কথা বলেন। ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ।
দীপু মনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসকে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকাকে মুছে ফেলা হয়েছে। একদিকে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে রাজাকারদের পুনরুত্থান হল, অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সম্বলিত সব কিছুকে অবদমিত করা হলো।’
নারীর বিরুদ্ধে যারা ফতোয়া দেয় তারা বেগম জিয়ার দোসর এমন মন্তব্য করেন দীপু মনি বলেন, ‘শাহ আজিজের মত চিহ্নিত রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে পূর্ণ পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যে নারীরা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছে, অস্ত্র পরিবহন করেছেন, তথ্য আদান প্রদান করেছেন সেই নারীদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দোসররা।’
সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মানুষ হত্যা করে, নারী ধর্ষণ করে, তাদের আবার কিসের ইসলাম? আমাদের দেশে সব মেয়ের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা আছে। কিন্তু বেগম জিয়ার আমলে নারীর নীতিমালা ছেটে ফেলা হয়।’
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের আজীবন লড়াই চলবে। যারা এ লড়াইয়ে বিরোধিতা করবেন, তাদের বাংলাদেশ থেকে ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে নিরপেক্ষতার সুযোগ নেই। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পর আপনার অবস্থান হয় বাংলাদেশের পক্ষে না হয়ে পাকিস্তানের পক্ষে। এখানে সুশীল থাকার কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের আঁতাত ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জিয়া পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানিদের ঘনিষ্ঠতার নানা ইঙ্গিত করে এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানান তুরিন। বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে যদি সম্মান করতে হয়, তাহলে আমাদের আজীবন লড়াই করতে হবে। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন লড়াই করা যায়, প্রধানমন্ত্রী সেটি প্রমাণ করেছেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হালিমা আক্তার লাবন্যর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।