মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের দুই বস্তা অভিযোগের কমিটি আবার স্থগিত
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের দুই বস্তা অভিযোগের কমিটি আবার স্থগিত
পক্ষকাল সংবাদ ;উত্থাপিত অভিযোগের সুরাহা না করেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের অন্তর্গত ২৬টি থানা, ৪৬টি ওয়ার্ড ও ৯টি ইউনিয়নের কমিটি অনুমোদন দেয়ার অভিযোগ উঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এনিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
গত ২৮ শে ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি জানান।
এতে বলা হয়েছিল , ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত ২৬টি থানা, ৪৬টি ওয়ার্ড ও ৯টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, বাস্তবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে কিছুই জানে না। বরং উত্তরের দেয়া কমিটিগুলো নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তদন্ত টিমের আগামী সপ্তাহে বসার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই কেন্দ্রকে পাশ কাটিয়ে তারা কমিটি দিয়ে দিল। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নেতারা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পক্ষকাল কে জানিয়েছিলেন , ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কমিটির নিয়ে অনেক অভিযোগ ছিল। সেগুলো নিয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খানের সঙ্গে আমাদের আগামী সপ্তাহে বসারও কথা ছিল। এর মধ্যেই তারা কমিটি দিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ জানি না। এ নিয়ে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকও ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে পার্টি অফিসে আলোচনা হয়েছে ।
অভিযোগগুলো কী ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, ‘অভিযোগগুলো আমাদের ইন্টারনাল বিষয়। এগুলো কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা আছে। সেগুলো দেখার জন্য আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি এগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল।’
প্রসঙ্গত, এ বছরের ৫ জুলাই ঢাকা মহানগরের উত্তরে অর্ন্তগত প্রায় সবকয়টি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক। ওই কমিটিগুলোর বিষয়ে অনেক অভিযোগ জমা পড়ে দলীয় সভাপতি বারাবর। পরদিন ৬ জুলাই তিনি সবক’টি কমিটি স্থগিত করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
দলীয় সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে। এই প্রক্রিয়ার তদারকির জন্য দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) ফারুক খানকে দায়িত্ব দেন শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, প্রায় দুই বস্তা অভিযোগের প্রত্যেকটি যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট প্রস্তুত করেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ নিয়ে তদন্ত কমিটির বৈঠকও হয়েছে। আগামী সপ্তায় এ বিষয়ে ফারুক খানের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক হওয়ারও কথা ছিল। এই বৈঠকের ফাঁকেই ফের কমিটিগুলো চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিলেন রহমতউল্লাহ ও সাদেক খান।
তবে এ বিষয়ে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, ‘কে কী বলল জানি না। আমরা নির্দেশনা পেয়েই কমিটি দিয়ে দিয়েছি।’
মহানগর কমিটিতে পেশাদার খুনি,জামাত,বি এন পি সহ ব্যাপক টাকার লেনদেন এর অভিযোগ এই কয়েক দিনের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর কেদ্রিয় কমিটির নেতারা নানামুখি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে থাকেন ।
বিশেষ করে মিরপুর কাফ্রুল,তেজগাও,গুলশান,বনানি সহ প্রায় সব এলাকায় দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ,নির্যাতিত নেতা কর্মীদের কমিটিতে বাদ দিয়ে স্থানীয় এম।পি দের সাথে যোগসাজশ করে কুকর্ম কে চাপা দেবার জন্য পদ বঞ্চিত করে রাখার যে জঘন্য খেলা তারা খেলে -তা প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেদ্রিয় কমিটি অবগত ছিল। সুত্র পক্ষকাল কে জানিয়েছে মহানগর এই দুই নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনার সাথে জড়িত দের বিরুদ্ধে অচিরেই দল ব্যবস্থা গ্রহন করতে যাচ্ছে ।
আজ আবার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান কে দায়িত্ব দিয়েছেন কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ঠিকঠাক অভিযোগ বিহীন কমিটি করার জন্য ।