বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মিছিল ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মিছিল ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
পক্ষকাল সংবাদঃ
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ ৩ জানুয়ারি ২০১৮ বেলা ১২ টায় তোপখানা, পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির দাবিতে আমরন অনশনরত শিক্ষকদের সাথে সংহতি জানান। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন এর সভাপতিত্ব সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল বর্মন, অর্থ সম্পাদক রোখসানা আফরোজ আশা, স্কুল সম্পাদক সজল বাড়ৈ, সদস্য মুক্তা বাড়ৈ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অলমগীর হোসেন সুজন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষক হলো জাতির বিবেক আর শিক্ষকদের অবহেলিত রেখে শিক্ষার গুণগত মানবৃদ্ধি সম্ভব নয়। দেশের নন এমপিও শিক্ষকেরা ১০/১৫ বছর তাদের নিজেদের মানসিক শ্রম দিচ্ছেন, হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা নিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়ছে, চাকুরি করছেন অথচ এই শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন না। অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও’র দাবিতে আন্দোলন করছেন নন-এমপিও শিক্ষককেরা। শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে ২০১০ সালের পর বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দেশের হাজার হাজার শিশু, কিশোর, তরুনদের শিক্ষা দিয়ে যে শিক্ষকেরা দেশগড়ার কারিগর তৈরি করবে। তাদেরকে দিনের পর দিন ক্লাসরুমের পরিবর্তে রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে হচ্ছে তাদের বেতন ভাতার জন্য। এই হলো আমাদের স্বাধীনতার ৪৬ বছরের শিক্ষা ব্যবস্থা। ১৯৭১ সালে শহীদেরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলো। পাকিস্তানের ২২ পরিবারে শোষন বৈষম্যমুলক ব্যবস্থার অবসানের জন্য লক্ষ্য তরুন প্রাণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেণ। তাদের অকাঙ্খা ছিলো স্বধীন দেশে কোন বৈষম্য-শোষন থাকবে না, শিক্ষা হবে সবার জন্য অথচ শিক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে টাকা যার শিক্ষা তার, আজ ৪৬ বছর পর শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে দেখছি বৈষম্যর পাহাড়। শাসকদের ছত্র ছায়ায় প্রশ্ন ফাঁস শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে সরকার শিক্ষার গুণগত মানবৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব না দিয়ে, পাশের হার বৃদ্ধি দেখিয়ে বাহ্বা কুড়ানোর চেষ্টা করছে। শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ন অংশ শিক্ষকদের বেতন ভাতা জন্য দিনের পর দিন রাস্তায় থকতে হচ্ছে। আর সরকার যতো কথায় বলোক শিক্ষকদের অবহেলিত রেখে শিক্ষার গুণগত মানবৃদ্ধি সম্ভব নয়। তাই সরকার যদি শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধি করতে আন্তরিক হয়, তাহলে শিক্ষকদের দাবি মানতে হবে। নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে শিক্ষদের দাবি পূরণ করে, তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।