সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » মেয়র পদপ্রার্থী নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমঝোতা!
মেয়র পদপ্রার্থী নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমঝোতা!
পক্ষকাল সংবাদঃ
২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নানারকম গুজবকে মিথ্যা প্রমাণ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমঝোতা হয়েছে! বিএনপি-জামায়াত ২০দলীয় জোটের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে এবং তা জানা যাবে আজ সোমবার রাতেই।সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জামায়াত প্রার্থী ড. সেলিম উদ্দীনসহ বিএনপির মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া পাঁচ প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে একজনকে চূড়ান্ত করা হবে ২০দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী হিসেবে।
দুপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীরা হলেন দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, সহপ্রকাশনা সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম ও বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো.আক্তারুজ্জামান।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক চালিয়ে যান। শেষ মুহূর্তে সমঝোতা হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় নেতাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। তবে ২০ দলীয় জোটের নেতারা স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন না, কি কি শর্তের ভিত্তিতে এই সমঝোতা হল!
বেশ কয়েকদিন যাবৎ সংবাদপত্রে ২০ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নিয়ে জোট ভেঙ্গে যাওয়াসহ নানারকম গুজব ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত প্রার্থী ড. সেলিম উদ্দীনসহ জামায়াত নেতারা অনড় অবস্থানে থাকায় জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে যাওয়ার শংকা দেখা দেয়।বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা দেয়।
এর আগে দলটির মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিন গতকাল রবিবারে মেয়র পদে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক পাঁচজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তারাই আজ সেই ফরম জমা দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘সন্দেহ শঙ্কা যে নির্বাচন সরকার আদৌ করবে কি না, এটা নিয়েও জনমনে কিন্তু বিরাট প্রশ্ন আছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে মানুষের মধ্যে ভীতি, সংশয়, দূর করে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সেই নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।’