মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » ভুলতে চাই না প্রপ্তির লোভে ১৪ ফেব্রুয়ারি তোমায় ঃ
ভুলতে চাই না প্রপ্তির লোভে ১৪ ফেব্রুয়ারি তোমায় ঃ
শফিকুল ইসলাম কাজল ঃ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের জন্য ভালোবাসার ফুল ফোটেনি। ফুটেছিল দিপালী সাহা, জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, কাঞ্চনের বুকের তপ্ত রক্তের রঞ্জিত হওয়া রাজপথের রক্তাক্ত গোলাপ। সেদিন ছিল স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের সচিবালয় অভিমুখে প্রতিরোধ মিছিল হয়েছিল।
তিন দফা দাবির ভিত্তিতে সেই প্রতিরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
১) মজিদ খানের গণবিরোধী শিক্ষানীতি বাতিল
২) সকল ছাত্র ও রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তিদান
৩) সামরিক শাসন প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিক্ষনেই আমাদের কে আজও মনে করিয়ে দেয় এরশাদ এক জান্তার নাম। আমরা সামরিক শাসন কে পরাভূত করার জন্য আমাদের শিক্ষা জীবনকে ,আমাদের ব্যক্তি প্রতিষ্টা কে আমাদের পিতামাতার চাওয়া কে জলাঞ্জলি দিয়ে ৯০ এর দশক পরযন্ত-ধারাবাহিক ভাবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্টার লড়ায়ে নিজেদের স্বার্থ কে বলিদান করেই পরাস্ত করেছিলাম । আজ ২০১৮ তে দাড়িয়ে ২৮ বছর আগের সৃতি কেন মলিন হয় না ? কেন মনেহয় যা করছি তা কি ভুল করেছিলাম ।চাইলেই আমি এবং আমরা অনেকেই অনেক আগেই এই সমাজে বিত্তের মালিক হতে পারতাম ,হতে পারতামই এই রাস্টের আমলা ।সেই মেধা নিশ্চয় ছিল আমাদের । আর ১০ জন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদডা ন্যায় আমরাও মিছিল আন্দোলন ,সংগ্রাম ,রাজপথ ,না কাপিয়ে আত্তপ্রতিষ্ঠায় যা করনীয় তাই করতে পারতাম । আমরা চাইনি তাই হইনি । সুকুমার ব্রত্তি চর্চা করা ,অপশাসন এর বিরোধিতা করা । সাম্যের শাসন ,সমাজ দেখতে চেয়ে আমরা আমাদের কে এই দেশের মানুষের জন্য নিজেদের কে উৎসর্গ করে দিয়েছিলাম ।রাউফুন বসুনিয়া ,জাফর জয়নাল ,দিপালিরা আমাদের কে ডাক দিয়ে বলেছিল হাল ছেড়ে দিও না ভাই বরং কণ্ঠ ছাড়া জোরে । ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমাদের অগ্রজ নেতা বড় ভাইদের যে লড়াই সংগ্রাম শিক্ষার অধিকার আদায়ের যে লড়াই অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি জন্য জীবন দান । আজ এই ক্ষনে দাড়িয়ে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর বলার কিছুই নাই ।আপাদমস্তক এই রাষ্ট্র আজ সাম্প্রদায়িক শিক্ষাকে কর্পোরেট দালালদের হাত ধরে পন্যতে রূপান্তরিত করে ফেলেছে ।
শিক্ষা আজ শুধু পন্য না ।অমানুষ বানানোর কারিগরি বিদ্যালয় বানিয়ে ফেলেছে ।শুধু মাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আর আকড়িয়ে থাকার জন্য বড় দুই রাজনীতির দল সব কিছুকেই বিসর্জন দিয়ে ফেলেছে । আমাদের মত আজ যারা সমাজে নিজের পরিবার আর জীবন বাঁচানোর প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছে ।তারা চোখে এই বসন্তে শর্ষের ভুত কে গণতন্ত্রের ভুত ভাবছে । আমরা আমাদের পূর্বসূরিদের জীবনদান কে মিছেমিছি বলিদান বলে এই যান্ত্রব সমাজে এক বিন্দুও স্থান করেদিই নাই।তাই আজ বসুনিয়ার জীবন আগামিকাল সকালে ১৪ ফেরুয়ারির বলিদান সব পাচাটা তোষামোদি গণতন্ত্রের এক নায়ক নায়িকাদের হাতে তূলে দিয়ে নিজেরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে রোমন্থন করি যা হচ্ছে সব মেনে নাও আর শুধু ঢোল বাজাও ভুল করে না ,ভুল করে না । আমরা তাদের কে বরাবরই বলতে চাই এই রাষ্ট্র লুটেরাদের না এই দেশ চোর ডাকাত আর ৭১ এর পরাজিত শত্রুদের ও না ।এই দেশ আমাদের আমরা নিরভয়ে নির্লোভে নিমিষেই দেশের মঙ্গলের জন্য নিজদের জীবন বিলিয়ে দিতে পারি ।আমি তো রাজপথের অকুতোভয় পাহারাদার । সাম্য আর সমাজ এ সকলেরকল্যানের যুদ্ধের নির্ভীক যোদ্ধা । প্লিজ আমাকে বলতে দিন আমাকে লিখতে দিন ্রাআম্ররা ৯০ এর বীর যোদ্ধা ৭১ এর বিজয় যুদ্ধের মাঠে ছিলাম না ৯০ এর যুদ্ধে আমরা অগ্রভাগের বীর যোদ্ধা । আমরা ভুলে যেতে চাই না ১৪ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত লড়ায়ের ইতিহাস ।লাল সালাম