মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » » জোবায়দাও আসছেন শাশুড়িকে দেখতে
জোবায়দাও আসছেন শাশুড়িকে দেখতে
পক্ষকাল ডেস্ক;কোকোর স্ত্রীর পর এবার তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ঢাকায় আসছেন। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, পেশায় চিকিৎসক বেগম জিয়ার পুত্রবধূ আসছেন মূলত: বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, ‘স্বল্প সময়ের জন্য জোবায়দা ঢাকায় আসবেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, ‘তারেক জিয়ার বিয়ের পর জোবায়দাই বেগম জিয়ার চিকিৎসার যাবতীয় বিষয়াদি দেখভাল করতেন।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ঢাকা মেডিকেলের যে চারজন চিকিৎসক বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন তাতে বেগম জিয়া সন্তষ্ট নন। বেগম জিয়া তাঁদের বলেই দিয়েছেন যে, তাঁদের প্রেসক্রিপশন তিনি মানবেন না।’ বেগম জিয়াকে তাঁর পছন্দের চিকিৎসকদের নাম দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু নিজের দলের চিকিৎসকদের ব্যাপারেও বেগম জিয়া খুব একটা আস্থা রাখতে পারছেন না। বেগম জিয়ার একজন নিকটাত্মীয় বলেছেন দলের আইনজীবী এবং দলের সিনিয়র নেতারা যেভাবে তাঁর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, তাতে এখন বেগম জিয়া পরিবারের বাইরে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। এজন্যই ডা. জোবায়দা ঢাকায় আসছেন।
ডা. জোবায়দা তাঁর একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান। গত প্রায় ১০ বছর তিনি লন্ডনেই অবস্থান করছেন। লন্ডনে যাবার আগে ডা. জোবায়দা সরকারি চিকিৎসক হিসেবে চাকরি করতেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে তিনি ২০১২ সালে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন।
ডা. জোবায়দা এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত চলছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডা. জোবায়দা দেশে ফিরলে তাঁকে কোনো হয়রানি করা হবে না।
তারেক জিয়ার স্ত্রীর দেশে ফেরার পথে সবথেকে বড় বাঁধা হলো তাঁর পাসপোর্ট। ২০১৩ সালে তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারেক জিয়া এবং তাঁর পরিবারের কেউই পাসপোর্ট নবায়ন করেনি। তবে, নিজ দেশে ফিরতে চাইলে অবস্থানকারী দেশে (যুক্তরাজ্য) বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অস্থায়ী এন্ট্রি ডকুমেন্ট নেওয়া যায়। এরকম একটি ডকুমেন্ট অথবা নবায়নকৃত পাসপোর্ট নিয়ে ডা. জোবায়দা দেশে আসতে পারেন।
আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, ‘তারেক জিয়া আইনের চোখে ফেরারি, দণ্ডিত এবং দুর্বৃত্ত। জোবায়দার ব্যাপারে আমাদের কোনো আক্রোশ বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেই।’
দুই বছর আগে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. জোবায়দার রাজনীতিতে আসার খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের রাজনীতিতে আসা রাজনীতির জন্য ইতিবাচক।’
উল্লেখ্য, তারেক জিয়ার সহধর্মিণী হলেও ডা. জোবায়দা স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের নিকটাত্মীয়।