মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » সরকারিভাবে রোগী প্রতি ব্যয় ৭৬ হাজার ৩৭৩ টাকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারিভাবে রোগী প্রতি ব্যয় ৭৬ হাজার ৩৭৩ টাকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পক্ষকাল ডেস্ক ঃঢাকা: চলতি বছর চিকিৎসা বাবদ সরকারিভাবে রোগী প্রতি ব্যয় হয় ৭৬ হাজার ৩৭৩ টাকা বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। একইভাবে পথ্য বাবদ (খাবার) রোগী প্রতি দৈনিক ব্যয় হয় ১২৫ টাকা। মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান জনবান্ধব সরকার প্রায় প্রতিবছরই চিকিৎসায় মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মো. মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দিদারুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী এমবিবিএস রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৩২১জন এবং বিডিএস রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮ হাজার ৫১৫ জন।
এসব চিকিৎসকের মধ্যে সারাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা ২৮ হাজার ৭৪১জন। এছাড়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনসহ অন্য অনুমোদিত মেডিকেল কলেজে প্রতি বছর ২ হাজার ৮৪৬ জন বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কোর্সে ভর্তি হচ্ছে।
তাছাড়া নতুনভাবে ডেপুটেশন কমিটি যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশেষ টাস্কর্ফোস গঠন করা হয়েছে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে গরীব-দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবা সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, দেশের প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে যাতে গরীব-দু:স্থ রোগীরা বিনামূল্যে-নূন্যতম মূল্যে চিকিৎসা সেবা. পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
দেশে জটিল রোগসমূহের ঔষধের মূল্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এমন দাবির জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এটা সঠিক নয়। কিছু কিছু ঔষধের মূল্য আগের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কিছু কিছু ঔষধেরে মূল্য আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।
ঔষধের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সর্বদা তৎপর রয়েছে। ঔষদ প্রশাসন অধিদপ্তর কেবলমাত্র প্রাইমারী স্বাস্থ্য সেবার তালিকার্ভুক্ত ১১৭টি জেনেরিক নামের ঔষধের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
শেখ মো. নুরুল হকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে মোট সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এ সকল ক্লিনিকে প্রতিটিতে ১জন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছে।
এসব ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৩৮জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭৪ কোটির অধিক গ্রামীণ জনগণ ভিজিটের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সেবা গ্রহণ করছেন।