সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » বাস থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে খুন
বাস থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে খুন
পক্ষকাল সংবাদ : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় সাজ্জাদ হোসেন শাকিল (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে ফেনী থেকে কুমিল্লার আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে আসার পথে তাকে বাস থেকে নামিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে কুলাসার এলাকায় নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা।
পরে স্বজনরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে ফেনীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মামলার প্রধান আসামি সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর ভাতিজা আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সোমবার তার ওপর এ হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
আলকরা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক হেলাল বিকেলে শাকিলের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। শাকিল কুলাসার গ্রামের ছালেহ আহাম্মদ প্রকাশ বধু মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ফেনী থেকে মদিনা বাসযোগে কুমিল্লা আদালতে সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া রাস্তার মাথায় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী আবদুর রহমান ও আলমের নেতৃত্বে আমির হোসেন, শুভ, রিয়াজ, কফিল উদ্দিন, বাহাদুর ও ইকবালসহ ৮-১০ জনের একটি দল প্রকাশ্যে জোরপূর্বক তাকে বাস থেকে মুখে গামছা বেঁধে টেনেহেচঁড়ে নামায়। এরপর মাইক্রোবাসে করে ফেনীর শর্শদি দীঘির পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ের শাকিলকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফেনী থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
আলকরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে কুমিল্লায় চলে আসি। হাজিরা শেষে দুপুরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করি। শুনেছি-ছাত্রলীগের এক ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন,‘আমরা এখনও ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নই। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ওসি আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ বলেন, নিহতের মরদেহ এখনো এলাকায় নিয়ে আসা হয়নি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।