সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » » ‘১/১১ এর সংস্কারবাদীদের পরিকল্পনা ঠাঁই পেয়েছে’
‘১/১১ এর সংস্কারবাদীদের পরিকল্পনা ঠাঁই পেয়েছে’
আজকের বাজিমাত ঃঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন আহমেদ___
১৪ প্রতিশ্রুতি ও ৩৫ অঙ্গীকার করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এসব অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে বলে ইশতেহার ঘোষণায় বলা হয়েছে।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের এই ইশতেহারে ১/১১ এর সংস্কারবাদীদের অনেক পরিকল্পনা ঠাঁই পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার ফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারে কোনো চমক নেই।’
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইশতেহারে বলা হয়েছে এক ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটা কিন্তু ১/১১ এর সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দলের সংস্কারবাদীদের একটি দাবি ছিলো। পরপর দুই মেয়াদ হলে শেখ হাসিনা ডিসকোয়ালিফাই করেন। বিএনপি নেত্রীর পরপর দুই মেয়াদ হয়নি, সেক্ষেত্রে তিনি হয়তো সুযোগ পেতে পারেন।’
ইশতেহারে জনগণের স্বার্থের চেয়ে রাজনৈতিক ইস্যু বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে, এ বিষয়ে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়টিও অস্পষ্ট, সরকার প্রধানের ক্ষমতা দ্বিখণ্ডিত হলে একজনের জায়গায় ক্ষমতাধর হবেন দুই ব্যক্তি।’
পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো বয়সসীমা থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় ওই ইশতেহারে। এছাড়া সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা থাকবে না বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে এ বিষয়ে যথেষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে মনে করেন মহিউদ্দিন আহমেদ।