শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » ই-পেপার | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » মেহেরপুরে ইট ভাটার কাদায় প্রাণ গেলো ঔষধ কোম্পানীর কর্মকর্তার ॥ আহত ৪ জন
মেহেরপুরে ইট ভাটার কাদায় প্রাণ গেলো ঔষধ কোম্পানীর কর্মকর্তার ॥ আহত ৪ জন
মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ মেহেরপুর সদরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান শান্ত (৪০) নামের এক ঔষধ কোম্পানীর কর্মকর্তা মারা গেছেন। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী, শাশুড়ী ,সন্তান ও মাইক্রো চালক। শনিবার ভোরে মাইক্রোবাসযোগে মেহেরপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের সদর উপজেলার আলমপুর নামক স্থানে পৌঁছালে ইটভাটার মাটির সড়কে পড়ে কাদা হওয়ার কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আজিজুল ইসলামের ছেলে তিনি এ্যালকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. নামের একটি ঔষধ কোম্পানীর মেহেরপুর জেলা ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকুরীর সুবাদে মেহেরপুর শহরের ঘোষপাড়ায় বাড়ি নির্মান করে বসবাস করতেন।
আহত স্ত্রী শামিমা সুলতানা সাথী মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বাকি আহতরা হলেন শাশুড়ী মুজিবনগর উপজেলার গোপালগনর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সামসুন্নাহার, ২ বছর বয়সী ছেলে শির্ষ, মাইক্রো চালক আনন্দবাস গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে টুটুল।
আহতদের মধ্যে স্ত্রীর দুই উরু ও মাথায় এবং শাশুড়ীর একটি পা কেটে পড়ে গেছে। তাদের দুজনকেই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমানের ২ বছর বয়সী ছেলে শীর্ষ কয়েকদিন আগে ঘর থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। সেই থেকে সে বমি করতে থাকে। তাকে উন্নত চিকিৎসার চিকিৎসকরা ঢাকায় স্থানান্তর করে। শুক্রবার রাতে ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে মাইক্রো ভাড়া করে রাতেই স্ত্রী, শাশুড়ীসহ ছেলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রওয়ানা হন। এদিকে পথিমধ্যে আলমপুর নামক স্থানে পৌছালে ইটভাটার মাটি রাস্তায় পড়ে বৃষ্টির কারণে কাদা হয়ে যায়। সেখানে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে। এতে চালকের পাশে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। চালকসহ মাইক্রোর অন্যান্য যাত্রীরা মারাত্মক আহত হয়।
রাতেই স্থানীয়দের খবরে সদর থানা পুলিশের একটি দল ও মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত ঘোষনা করেন। আহতদের মধ্যে শামিমা সুলতানা ও তার মা সামসুন্নাহারকে ঢাকা পঙগু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী মেডিক্যাল অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, মোস্তাফিজুর রহমান হাসপাতালে পৌছানোর আগেই মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে সামসুন্নাহারের একটি পা কেটে পড়ে গেছে, শামিমা সুলতানার দুই উরু এবং মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন । তাদের দুজনকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।