শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ » অনুমোদন পেল আরও তিন ব্যাংক
প্রথম পাতা » ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ » অনুমোদন পেল আরও তিন ব্যাংক
৩৮২ বার পঠিত
রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অনুমোদন পেল আরও তিন ব্যাংক

ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি- কার্যক্রম শুরু করতে নতুন তিনটি ব্যাংককে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিভিন্ন মহলের সমালোচনা সত্ত্বেও নতুন সরকার গঠনের দেড় মাসের মাথায় এ তিন ব্যাংককে অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক তিনটি হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

সভায় এসব ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা ব্যাংক স্থাপনের আগ্রহপত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে নতুন এসব ব্যাংক স্থাপন করতে উদ্যোক্তাদের ৫০০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে বলে শর্তজুড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ তিন ব্যাংক অনুমোদনের ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টিতে। যার ১৩টি আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাছের।

তিনি বলেন, পর্ষদ সভায় নতুন তিনটি ব্যাংককের নীতিগত অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ তিনটি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করতে শর্ত দেয়া হয়েছে।

এর কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমাদের অর্থনীতি, জিডিপির আকার বড় হয়েছে। নতুন ব্যাংকে যেসব গ্রাহক আমানত রাখবে তাদের স্বার্থ রক্ষায় এ শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব ব্যাংককে এলওআই দেয়া হবে। তারপর তারা শর্ত পূরণ করলে আবারও বোর্ডে তোলা হবে। তখন বোর্ড যদি দেখে সব ঠিক আছে তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের চূড়ান্ত লাইসেন্স দেবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্বাহী পরিচালক।

এর আগে গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এসব ব্যাংককে অনুমোদনে জন্য ইতিবাচক সারা দেয়া হয়। এরপর কয়েকবার পর্ষদ সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। তবে আবেদনে ক্রুটি ও পর্যাপ্ত কাগজপত্র না থাকায় অনুমোদন দেয়া হয়নি।

জানা গেছে, ব্যাংকিং খাতে নানাবিধ সংকট চলছে। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম দিকে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দিতে অনাগ্রহ জানায়। তবে সরকারের চাপে শেষ পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরে আসতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। সরকারের প্রথম মেয়াদে অনুমোদন পাওয়া ৯টি ব্যাংকের কয়েকটি আর্থিক সংকটে ভুগছে। কোনো কোনো ব্যাংক গ্রাহকের জমা রাখা আমানত ফেরত দিতে পারছে না। সংকট ছড়িয়ে পড়ে ব্যাংক খাতে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।

অনুমোদন পাওয়া ‘বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের’ প্রধান উদ্যোক্তা হলেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। যদিও শুরুতে ‘বাংলা ব্যাংক’ নামেই অনুমোদনের আবেদন জমা দেয়া হয়েছিল। দেশে তাদের প্লাস্টিক শিল্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ভাই।

দ্য সিটিজেন ব্যাংকের মালিক হলেন বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক।

পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাশেম। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যাংকটির আবেদন করা হয়েছে।

বিধি মোতাবেক, ১০ লাখ টাকা ফি দিয়ে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন পেতে আবেদন করতে হয়। আর চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন লাগে।

বোর্ডের অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম শুরু করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, বোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যাংক এখন প্রথমে রেজিট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোম্পানি গঠন করতে হবে। এরপর ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকের জন্য চূড়ান্ত লাইসেন্স দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কর্মসক্ষমতা আছে কি না সে বিষয়ে প্রি-ইন্সপেকশন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে সক্ষমতা প্রমাণিত হলে তারা ব্যাংক শাখা খোলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের চূড়ান্ত লাইসেন্স পেতে সপ্তাহখানেক এবং ব্যাংক শাখার জন্য অনুমোদন পেতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)