রবিবার, ৩ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » সুপারিশ প্রাপ্ত ৫ হাজার শিক্ষকদের যোগদানে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
সুপারিশ প্রাপ্ত ৫ হাজার শিক্ষকদের যোগদানে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ
পক্ষকাল ডেস্ক -
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশপ্রাপ্তদের শিক্ষক হিসেবে যোগদানে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি চিঠির আলোকে এনটিআরসিএকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব অসীম কুমার কর্মকার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আজ ৩ মার্চ এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সুপারিশ পেয়েও যোগদান করতে পারেননি প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক। নিয়োগর সুপারিশ পেয়েও যোগদান করতে না পেরে চরম হতাশায় এসব নিবন্ধিত প্রার্থী। গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় ৩৯ হাজার ৫৩৫টি পদে নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। অনেক প্রার্থী এবার প্রত্যেকে গড়ে শতাধিক আবেদন করেও নিয়োগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। আবার সুপারিশপ্রাপ্তরা অনেকেই চাকরিতে যোগ দিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নানা জটিলতার মুখে পড়ছেন। যোগ দিতে গিয়ে কেউ জানতে পারছেন সংশ্লিষ্ট পদটির কোনো অনুমোদনই নেই। আবার কেউ জেনেছেন পদটি এমপিওভুক্ত নয়। এমনকি নন এমপিও পদগুলো পরবর্তী সময়ে এমপিওভুক্ত হবে কি না, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অনেক প্রার্থীর অভিযোগ এমপিওভুক্ত পদে আবেদন করে নন এমপিও পরে জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। অনেকে বলছেন যখন আবেদন করেছিলাম তখন এমপিও পদ দেখালেও সুপারিশপ্রাপ্তির পরে পদটি ননএমপিও দেখাচ্ছে। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের বেতনের কোনো নিশ্চয়তা নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। একাধিক প্রার্থী দৈনিক শিক্ষাকে জানান, এমপিওভুক্ত প্রভাষকদের বেতন ২২ হাজার টাকা হলেও সুপারিশপ্রাপ্তদের নন এমপিও পদে ৫ হাজার টাকা বেতন দেয়া হবে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানিয়েছেন।
অনেক প্রার্থীর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে গেলেও অনেকে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। প্রার্থীরা জানান প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ভুল তথ্য দিয়েছেন তার খেসারত দিতে হচ্ছে সুপারিশপ্রাপ্তদের। নির্দিষ্ট বিষয়ে নিবন্ধিত হয়ে সে বিষয়ে সুপারিশ পাওয়ার পরেও প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি নেই বলে অনেক সুপারিশপ্রাপ্তকেই যোগ দিতে দেয়া হয়নি।
প্রার্থীদের অভিযোগ প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শূন্য পদের তথ্য দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতেই নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলছেন ভুল এনটিআরসিএর। এনটিআরসিএ বলছে ভুল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে যোগদান করতে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায় শূন্য পদ একটি থাকলে ভুল করে একাধিক পদের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের অভিযোগ অনেকগুলো আবেদন করেও তারা নিয়োগর সুপারিশ পাননি।