রবিবার, ১০ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের মূল চালিকা শক্তি
প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের মূল চালিকা শক্তি
ডেস্ক সংবাদ চট্টগ্রাম:
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বর্ণিল আয়োজনে নগরে শুরু হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের নিয়ে বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
৩৪তম বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য সেক্টরের মতো খেলাধূলার মানোন্নয়নেও তিনি নানা্ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার কারণে ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের মূল চালিকা শক্তি। তাদের কর্মব্যস্ত জীবনে প্রাণচাঞ্চল্যতা সৃষ্টির জন্য বিনোদন একান্ত প্রয়োজন। এ কারণেই সরকার বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সকল বিভাগের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করার জন্য এ বছর ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, যা অন্য যে কোনো সরকারের তুলনায় বেশি।
স্মারক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। ছবি: উজ্জ্বল ধরফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের সন্তানদের মেধা ও মননের উৎকর্ষ সাধন করতে বিভাগীয় বার্ষিক এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে। আশা করি, আজকের এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে অনেক ক্রীড়াবিদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় অংশ নিয়ে দেশের মান উজ্জ্বল করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক সত্যব্রত সাহা বলেন, ছেলে-মেয়েদের ব্রয়লার মুরগি বানাবেন না। তাদের নিজ নিজ গুণ বিকশিত করার সুযোগ দিন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা সাবজেক্ট আইনের ছাত্র বঙ্গবন্ধু যদি শুধু নিজের কথা ভাবতেন- তাহলে কী আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম? বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যদি তার সংসার নিয়েই থাকতে চাইতেন- তাহলে কী আমরা এই নেতৃত্বে পেতাম?
সত্যব্রত সাহা বলেন, ছেলে-মেয়েদের কী কী যোগ্যতা আছে- সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। এসব গুণ পরিচর্যা করার চেষ্টা করুন। কারণ শুধু গোল্ডেন এ প্লাস দিয়ে, ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করা যায় না।
তিনি বলেন, একজন মানুষের সম্পুর্ণ বিকাশের জন্য প্রতিটি গুণের বিকাশ দরকার। খেলাধূলা মানুষের মধ্যে আত্মপ্রত্যয়ের সৃষ্টি করে। সুস্থ্ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করে। মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে খেলাধূলাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ আমরা শুধু পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি করতে চাই না, শিক্ষার্থী তৈরি করতে চাই।
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে। ছবি: উজ্জ্বল ধর বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, আশির দশকে বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আজকে যে প্রতিযোগিতার আসর বসেছে এটি এ প্রতিযোগিতার ৩৪তম আসর। এর একটি ঐতিহ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, একেকটি জেলা থেকে আমাদের কর্মচারী ও তাদের সন্তানরা অংশ নিয়ে জেলা থেকে প্রতিযোগিতা করতে করতে বিভাগীয় পর্যায়ে আসে। বিভাগীয় পর্যায় থেকে তারা যখন একটি সম্মান বা মর্যাদা নিয়ে ফিরে যায়- তখন পরের বছরের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার অনুপ্রেরণা পায়। তাই এ প্রতিযোগিতা, খেলাধূলার এ ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখতে চাই।
বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে একটি স্মারক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকারের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামীসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।