মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ, নুর,লিটন নন্দী সহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ, নুর,লিটন নন্দী সহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পক্ষকাল ডেস্কঃ
রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত ও হলের ভেতরে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নুরুল হক নুরু ও বামজোট সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অন্তত ৪০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।
সোমবার ১১ মার্চ রাতে রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের কারেন। মামলা নম্বর ৯। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে মামলা দায়েরর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মারজুকা রায়না নামে এক শিক্ষার্থী মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে প্রভোস্ট ও ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করার কথা উল্লেখ আছে। এছাড়া, ভাঙচুর ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে এখনও এই মামলায় কেউ গ্রেফতার নেই বলে জানান ওসি।
মামলায় নুরুল হক নুরু ছাড়াও বামজোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার, ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবীবা বেনজীর, রোকেয়া হল সংসদের ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মৌসুমী, ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী শ্রবনা শফিক দীপ্তির নামও রয়েছে আসামির তালিকায়।
সোমবার (১১ মার্চ) ভোটগ্রহণের সময় দুপুরের দিকে রোকেয়া হলে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা অভিযোগ তোলেন— ভোটগ্রহণ শুরুর আগে তাদেরকে খালি ব্যালট বক্স দেখানো হয়নি। এছাড়া, যে পরিমাণ ব্যালট পেপার থাকার কথা তাও নেই। শিক্ষার্থীরা রোকেয়া হলের কেন্দ্রের পেছনের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে সেখান থেকে ব্যালট ভর্তি ট্রাংক বের করে আনেন। এসময় সেখানে ছাত্রলীগের প্যানেলভুক্ত নেতারাও জড়ো হন,কোটা আন্দোলনের নেতা নূরুল হক নুরও আসেন। সেখানে তারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় রোকেয়া হলে নূরুল হক নুর মারধরের শিকার হন বলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। রোকেয়া হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মামলা করতে পারে।’ এরপর সোমবার রাতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিষয়ে আসামি লিটন নন্দীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মামলা নতুন কিছু না। তারা অতীতের মতো সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্য মতের প্রতি আঘাত করে, আবার মামলাও করে। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ, ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩:২৫, মার্চ ১২, ২০১৯ | সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৫৯, মার্চ ১২, ২০১৯
নূরুল হক নুর ও লিটন নন্দী
রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত ও হলের ভেতরে ভাঙচুর চালিয়ে ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরু ও বামজোট সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অন্তত ৪০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) রাতে রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের কারেন। মামলা নম্বর ৯। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে মামলা দায়েরর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মারজুকা রায়না নামে এক শিক্ষার্থী মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে প্রভোস্ট ও ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করার কথা উল্লেখ আছে। এছাড়া, ভাঙচুর ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে এখনও এই মামলায় কেউ গ্রেফতার নেই বলে জানান ওসি।
মামলায় নুরুল হক নুরু ছাড়াও বামজোটের ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার, ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবীবা বেনজীর, রোকেয়া হল সংসদের ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মৌসুমী, ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী শ্রবনা শফিক দীপ্তির নামও রয়েছে আসামির তালিকায়।
সোমবার (১১ মার্চ) ভোটগ্রহণের সময় দুপুরের দিকে রোকেয়া হলে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা অভিযোগ তোলেন— ভোটগ্রহণ শুরুর আগে তাদেরকে খালি ব্যালট বক্স দেখানো হয়নি। এছাড়া, যে পরিমাণ ব্যালট পেপার থাকার কথা তাও নেই। শিক্ষার্থীরা রোকেয়া হলের কেন্দ্রের পেছনের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে সেখান থেকে ব্যালট ভর্তি ট্রাংক বের করে আনেন। এসময় সেখানে ছাত্রলীগের প্যানেলভুক্ত নেতারাও জড়ো হন,কোটা আন্দোলনের নেতা নূরুল হক নুরও আসেন। সেখানে তারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় রোকেয়া হলে নূরুল হক নুর মারধরের শিকার হন বলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। রোকেয়া হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মামলা করতে পারে।’ এরপর সোমবার রাতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বিষয়ে আসামি লিটন নন্দীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মামলা নতুন কিছু না। তারা অতীতের মতো সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্য মতের প্রতি আঘাত করে, আবার মামলাও করে। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’