শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » ঢাবিতে প্রবেশ করলো জামাত-শিবির!
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » ঢাবিতে প্রবেশ করলো জামাত-শিবির!
৪৭৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঢাবিতে প্রবেশ করলো জামাত-শিবির!

ঢাকা, ১২ মার্চ- এবারের ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে কি স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রবেশদ্বার উম্মুক্ত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে?এবারের ডাকসু নির্বাচনে যেটা লক্ষণীয়, আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যকোন প্রধান রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ভালো করেনি। যে যতই বলুক না কেন নির্বাচনে কারচুপি বা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ হয়েছে, কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের যে শক্ত অবস্থান, সেটা থেকে বোঝা যায় যে, কারচুপি যদি নাও হত, নির্বাচন যদি সুষ্ঠুও হত তাহলেও হয়তো প্রগতিশীল ছাত্র জোট বা ছাত্রদলের আরও ভরাডুবি হত।

নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে। অনেকেই বলছে কোটা সংস্কার আন্দোলনটা হলো জামাত এবং শিবির নিয়ন্ত্রিত। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের যে প্যানেল তৈরী হয়েছিল তার পেছনে জামাত শিবির এবং লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার মদদ ছিল। এগুলোর কোনটার পক্ষেই কোন যুক্তিসংগত প্রমান বা তথ্য উপাত্ত নেই। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের পেছনে জামাত এবং ছাত্র শিবিরের মদদ ছিল সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই নির্বাচনের আগে জামাত ইসলাম এবং ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের প্রার্থীদের ভোট দিতে এবং তাদের অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল, তখন এই নুরুল হক নুরু এবং রাশেদ খানসহ কোটা সংস্কারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তারা যে এক সময় শিবির করেতেন এবং শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল তার নানা প্রমাণ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে কখনো ছাত্রশিবির বা ধর্মভিত্তিক কোন দল কখনো স্থান পায়নি। এরা বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চিন্তা করেছিল। কাটাবন মসজিদ এবং এই মসজিদ সংশ্লিষ্ঠ দোকানগুলো ঘিরে ইসলামিক ছাত্রশিবির এবং জামাতের তৎপরতা ছিল। এরা আশির দশকে একবার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। তখন সাধারণ ছাত্রদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুটিয়ে যায়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র শিবির এবং জামাত পন্থীরা থাকতো। কিন্তু তারা তাদের কার্যক্রম গোপনে চালাতো। প্রকাশ্যে কখনো তাদের তৎপরতা দেখা যায়নি কখনো। জামাতের বিভিন্ন দলিলপত্রে দেখা যায় যে, তারা বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে অনেকে জামাতের ব্রেইন চাইল্ড বলেও মনে করে। ছাত্রশিবির এই আন্দোলনের রুপ পরিকল্পনা, সংগঠিত এবং সারাদেশে বিন্যাস এবং বিকাশের জন্য তৎপর ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলন দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এই আন্দোলনের নেতৃত্বের মধ্য দিয়েই জামাত এবং শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরী করতে সক্ষম হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারের ডাকসু নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে বিভিন্ন সরকার বিরোধী মহলের মদদ এবং পৃষ্টপোষকতা ছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মদদ ছিল ইসলামি ছাত্রশিবিরের। তাই এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ এবং যেখানে মুক্ত চিন্তা পাদপিঠ বলা হয়ে, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি শিবিরের উথান ঘটলো? এর মাধ্যমে কি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র শিবির তার অবস্থান দৃঢ় করলো? বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা যায় যে, জামাত ইসলাম তাদের দল বিলুপ্ত করে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করবে। নতুনভাবে শুরু করলে তারা তাদের গায়ে স্বাধীনতা বিরোধী যে তকমা তা যেন গায়ে না আটে সেজন্য তারা তৎপর। একটা নতুন নাম নিয়ে তারা কাজ করছে। জামাত যখন বিলুপ্ত হবে তখন ইসলামী ছাত্র শিবিরও বিলুপ্ত হবে বলে জামাতের বিভিন্ন সূত্রগুলো মনে করছে। এটাই যদি হয়, তাহলে ডাকসু নির্বাচন কি তার প্রথম পদক্ষেপ? কোটা সংস্কার আন্দোলনের যে ব্যানার, সেটা কি পরিবর্তিত জামাতের ছাত্র সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হবে? তার প্রস্তুতি হিসেবেই কি এবারের ডাকসু নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করলো? এমন একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাত আত্মপ্রকাশ করতে চায় যে দলের নাম জামাত থাকবে না এবং যে দলে স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহ্নমাত্রা থাকবে না। সেই আবহ তৈরীতেই কি ডাকসু নির্বাচনে কোটা আন্দোলনকারীরা অংশগ্রহণ করেছিল? এই নির্বাচনের সাফল্য কি জামাতকে নতুন একটি সংগঠন হিসেবে উৎসাহী এবং এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে? এরকম প্রশ্নগুলোই এই ডাকসু নির্বাচনের পর সামনে চলে এসেছে। এবারের নির্বাচনে একটি বিষয় দেখা গেছে যে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আদর্শের চেয়ে ঠুনকো আবেগ এবং নিজস্ব দাবিদাওয়ার ব্যাপারেই মনোযোগি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় যে একটা আদর্শিক বিনির্মাণের জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিল, যেখানে প্রগতিশীল চিন্তার চর্চা হত এবং ডাকসুতে এর আগে অধিকাংশ সময়ই বাম মনস্ক ছাত্র সংগঠনগুলো আধিপত্য বিস্তার করেছিল। সেই জায়গায় এখন আদর্শহীন একটি ইস্যুভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যখন নির্বাচনে ভালো ফলাফল করলো তখন এই প্রশ্ন আসতেই পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি তাহলে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতির অনুপ্রবেশ ঘটলো?



এ পাতার আরও খবর

রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত
মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে  তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত
চীনের  গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন চীনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন
রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে
ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার
সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুললেন নিখিল সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুললেন নিখিল
চোরাই অটো রিক্সাও ব্যাটারিসহ ২ জনকে আটক করেছেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। চোরাই অটো রিক্সাও ব্যাটারিসহ ২ জনকে আটক করেছেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।
নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সীমান্তের ওপার থেকে আসা গোলার আঘাতে দুই জন নিহত সীমান্তের ওপার থেকে আসা গোলার আঘাতে দুই জন নিহত
বর্ডারগার্ড (বিজিবি) সদস্যদেরকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডারগার্ড (বিজিবি) সদস্যদেরকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)