বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » সব মন্ত্রণালয়ে কর্মরতদের সম্পদের হিসাব নেয়ার দাবি টিআইবির
সব মন্ত্রণালয়ে কর্মরতদের সম্পদের হিসাব নেয়ার দাবি টিআইবির
পক্ষকাল সংবাদ : সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর নির্দেশে এই মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরগুলোর ১৭ হাজারেরও বেশি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়াকে এই খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি দাবি করেছে সব মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের সরকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা না হলে সুফল পাওয়ার সম্ভবনা সুদূর পরাহত থেকে যাবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ - এর যে ঘোষণা দিয়েছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাশাপশি একথাও মনে রাখতে হবে যে, মন্ত্রণালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর উপর অর্পিত দায়িত্বেরই অংশ। আমরা মাননীয় ভূমি মন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই কারণ তিনিই এই সরকারের প্রথম সদস্য যিনি এমন একটি উদ্যোগ নিলেন। তবে আমরা এখনও এই উদ্যোগের কার্যকারিতা ও সদিচ্ছার ব্যাপারে পুরোপুরি আশ^স্ত হতে পারছিনা। কারণ অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত এই খাতটির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা এই প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে গেছেন। অথচ তাঁদের বাদ দিলে পুরো প্রক্রিয়াটিই গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।”
তাছাড়া সেবা খাতে কার্যকর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল শুধু ভূমি মন্ত্রণালয় নয়, বরং সব মন্ত্রণালয়ের সব শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করার পাশাপশি তা নিয়মিত হালনাগাদ ও পরীবিক্ষণের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলছেন, “জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি কর্তৃক সম্পদের বিবরণী জমা দেবার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার অনুযায়ী সরকারি পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি হ্রাস করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার কর্মসূচি সার্বজনীন করা ও তা নিয়মিত হালনাগাদ ও পরীবিক্ষণ করার মাধ্যমে এ উদ্যোগকে কার্যকর করতে হবে। এছাড়া সম্পদ বিবরণী যথাযথ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে দুদক- এর মাধ্যমে যাচাই করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং বৈধ আয়ের সাথে সম্পদের অসামঞ্জস্যতার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”