নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলা, অনেক হতাহতের আশঙ্কা
বিদেশ খবর ১৮ মার্চ-
নেদারল্যান্ডসের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশের রাজধানী ইউট্রেখটে একটি ট্রামে বন্দুক হামলা হয়েছে। বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। বেশকিছু গণমাধ্যম বলছে, গুলিতে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউট্রেখটের পুলিশ বলছে, ‘সিটি সেন্টারের পাশে অবস্থিত শহরের একটি ট্রাম স্টেশনের কাছে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশের জরুরি সেবা বিভাগের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোলাগুলির স্থানটি ঘিরে রেখেছেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও দেখা গেছে বলে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে।
দেশটির পুলিশের মুখপাত্র জুস্ট ল্যানশ্যাগে বলেছেন, একটি ট্রামে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ঘটনাস্থল এড়িয়ে চলাচলের জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি বলছে, তিনি একজন নারীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছেন। ঘটনাস্থল থেকে অনেক মানুষকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন তিনি।
পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে এর বেশিকিছু জানাতে পারেনি তারা। সিটি সেন্টারের পাশে ২৪ অকটোবারপ্লেইন জংশনে এ হামলার পেছনে সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেছেন, ট্রাম স্টেশেন হামলার পর সংকটকালীন জরুরি বৈঠকে বসেছে সরকার। ইউট্রেখটের পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের সব ট্রাম সেবা বন্ধ ঘোষণা করেছে তারা।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী দেশটির স্থানীয় নিউজ আউটলেট এনইউ.এনএলকে বলেন, ‘একজন বন্দুকধারী আচমকা এলোপাতাড়ি গুলি করা শুরু করে। তবে এডি.এনএল নামের দেশটির আরকেটি সংবাদমাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, চারজন বন্দুকধারী ট্রাম স্টেশনের পাশে একটি নারীর ওপর অতর্কিতে বন্দুক হামলা শুরু করে।
নিউজিল্যান্ডে ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের এক উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গর হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ইউরোপের শান্তিপূর্ণ এই দেশটিতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো। তবে গোলাগুলিতে ঠিক কতজন আহত হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।