মন্ত্রিসভায় আসছে নতুন মুখ
পক্ষকাল ১৯ মার্চ- আগামী ২৩ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন নতুন মন্ত্রীর শপথ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ শুরু করেছে। তবে কারা নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বা মন্ত্রিসভায় কী ধরনের রদবদল হতে পারে সে সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কোন কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মন্ত্রিসভার রদবদল বা সম্প্রসারণ সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে মন্ত্রিসভায় কয়েকজন নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। সেজন্যই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে ঐ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যুক্ত হলে কেউ বাদ যাবেন কি না—এমন তথ্য তাদের কাছে নেই বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ৭ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রথম রদবদল হতে যাচ্ছে ২৩ মার্চ। ঐদিন মন্ত্রিসভায় কয়েকজন নতুন মুখ যুক্ত হতে পারেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, যেসব হেভিওয়েটদের ৭ জানুয়ারির মন্ত্রিসভায় বাদ দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে দু’একজন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলেও হতে পারেন। তবে তারা কারা তা এখনও নিশ্চিত নয়। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ও মোহাম্মদ নাসিম—তিনজনের অন্তত একজনের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও সরকারের অন্য একটি সূত্র হেভিওয়েটদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলেছেন, মন্ত্রিসভায় হেভিওয়েটদের অন্তর্ভুক্তির কোন সম্ভাবনা নেই। তবে গতবারের মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়া ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মন্ত্রিসভায় ফেরার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
আরও কয়েকজন নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। মন্ত্রিসভায় তিন থেকে চারজন নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ঐ সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। ঐ সূত্র মতে, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন—জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হকের মধ্য থেকে যে কোন এক বা দুইজন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। নারী সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে এক বা দুইজন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
তবে ১৪ দলের শরিকদের মধ্য থেকে কেউ মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবেন কি না তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বলছে, ১৪ দলের মধ্যে যে অসন্তোষ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব মিটিয়ে ফেলার জন্য ১৪ দলের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
ঐ সূত্র বলছে, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক বা দিলীপ বড়ুয়ার মধ্য থেকে যে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অন্য একটি মহল মনে করছে, সিনিয়রদের বাদ দিয়ে শিরিন আক্তার বা ফজলে হোসেন বাদশার মতো অপেক্ষাকৃত তরুণদের মধ্য থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
তবে মন্ত্রিসভায় কারা অন্তর্ভুক্ত হবেন সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শেখ হাসিনা। একটি সূত্র জানিয়েছে, চার থেকে পাঁচজন নতুন মুখ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠিত হলেও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এখনও কোন পূর্ণমন্ত্রী নেই এবং একটি (মহিলা ও শিশু বিষয়ক) মন্ত্রণালয়ে কোন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই। মন্ত্রিসভার রদবদল এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সরকারী দল আভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে।