শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » রাজনীতি » তারেকের স্বেচ্ছায় কারাবরণ প্রস্তাব নেতাদের নাকচ
প্রথম পাতা » রাজনীতি » তারেকের স্বেচ্ছায় কারাবরণ প্রস্তাব নেতাদের নাকচ
২৫৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তারেকের স্বেচ্ছায় কারাবরণ প্রস্তাব নেতাদের নাকচ

ডেস্ক পক্ষকাল - খালেদার মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় নেতা এই প্রস্তাবকে উদ্ভট এবং বাস্তবসম্মত নয় বলে নাকচ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে এখন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাভোগ করছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বিএনপির সবপক্ষই একমত যে আন্দোলন সংগ্রামের চেয়ে এখন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসাই হওয়া উচিৎ বিএনপির প্রথম লক্ষ্য এবং কর্মসূচি। এই কর্মসূচি কী ধরনের হওয়া উচিৎ তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। বিএনপির মধ্যে এই নিয়ে ৩টি মতামত রয়েছে।

প্রথমত, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি অংশ মনে করছে, আন্দোলন এবং আইনী প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি অবাস্তব এবং অসম্ভব ব্যাপার। এজন্য সরকারের সঙ্গে একটা আপোস রফার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আনতে হবে। সেখানে সরকারের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসার জন্য সরকার আর বিএনপির শর্তগুলো নিয়ে পর্দার আড়ালে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে আসা যেতে পারে।

দ্বিতীয়ত, একটি অংশ মনে করছে যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা উচিৎ এবং প্রক্রিয়াটি জোরদার করা উচিৎ। ব্যারিস্টার নওশাদ জামিরসহ তরুণ আইনজীবীরা এখনো বিশ্বাস করেন যে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব। এজন্য তারা আইনী প্রক্রিয়াকে জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। যদিও বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ অন্যান্যরা মনে করছেন যে আইনী প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন সুদূর পরাহত।

তৃতীয়ত, যারা অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং তৃণমূল, তারা মনে করছেন যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একটাই পথ আছে, সেটা হলো রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা। অথবা এমন কোন কর্মসূচি গড়ে তোলা যাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ হয় এবং সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এই কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে নানা রকম আলাপ আলোচনা চলছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে গত পরশু তারেক জিয়া এক ফর্মুলা দিয়েছেন। সে ফর্মুলায় তারেক জিয়া বলেছেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য ভিন্ন রকমের কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। ভিন্ন রকমের কর্মসূচি হিসেবে তিনি বলেছেন স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি। তিনি সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীকে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ফর্মুলা দলের তৃণমূলের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও দলের সিনিয়র নেতারা মনে করছেন এই কর্মসূচি হলো আত্মঘাতী ও বাস্তবতাবিবর্জিত। এটার ফলে বিএনপির যেটুকু শক্তি অবশিষ্ট আছে সেটুকুও শেষ হয়ে যাবে। বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি নেতার উপর শতাধিক মামলা রয়েছে। এই বাস্তবতায় স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচিতে তারা যদি প্রকাশ্যে আসে এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলে সরকারের উপর কোন চাপ সৃষ্টি হবে না। এ পর্যন্ত বিএনপির যত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে তাতে সরকারের উপর ন্যূনতম চাপ সৃষ্টি হয়নি, সরকার কোন প্রতিক্রিয়াও দেখায়নি। তাই, বিএনপি নেতাকর্মীরা যদি স্বেচ্ছায় কারাবরণ করে তাতে বিএনপি সরকারের উপর কোন চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এর কোন প্রভাব পড়বে না। কাজেই বাস্তবতার নিরিখে এ ধরনের কর্মসূচিতে না যাওয়ার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা তারেক জিয়াকে অনুরোধ করেছেন।

কিন্তু তারেক জিয়া এখন পর্যন্ত তার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। তার এই কর্মসূচি যেন গৃহীত হয় সেজন্য তিনি তৃণমূল দিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন।

বিএনপির সিনিয়র নেতারা মধ্যবর্তী জায়গায় গিয়ে গণঅনশন, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিগুলোকে জোরদার করা এবং গণ-মানুষের নিত্যদিনের দাবি দাওয়া যেমন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিরাপদ সড়ক, ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। কিন্তু চূড়ান্তভাবে বিএনপি কোন ধরনের আন্দোলনে যাবে, কিংবা আদৈ তারা আন্দোলনে যাবে কি না বা সেরকম শক্তি তাদের আছে কি না সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। বিএনপিতে এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে তারেক জিয়ার কথাই ছিলো শেষ কথা। তার সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া কঠিন ছিলো এবং তার সিদ্ধান্তের কেউ প্রতিবাদ করতে পারতো না। কিন্তু এখন সময় পাল্টে গেছে। এখন তারেক জিয়ার প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে, সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে এবং সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাখাত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিএনপি আন্দোলন করতে পারুক না পারুক বিএনপিতে যে তারেক জিয়ার রাজত্বে অবসান ঘটতে যাচ্ছে সেটি স্পষ্ট।



এ পাতার আরও খবর

রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত
মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে  তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ‘চীনা হস্তক্ষেপ “নিয়ে নিষেধাজ্ঞার দিকে নজর দেবে যুক্তরাজ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ‘চীনা হস্তক্ষেপ “নিয়ে নিষেধাজ্ঞার দিকে নজর দেবে যুক্তরাজ্য
রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে
ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার
ফ্যানি কাপলানের বুলেটই লেনিনের মৃত্যুকে তরান্বিত করেছিল! ফ্যানি কাপলানের বুলেটই লেনিনের মৃত্যুকে তরান্বিত করেছিল!
নওয়াজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো নওয়াজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো
সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুললেন নিখিল সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুললেন নিখিল
মিয়ানমারের প্রতি উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই : কাদের মিয়ানমারের প্রতি উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই : কাদের
আ. লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা ১০ ফেব্রুয়ারি আ. লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা ১০ ফেব্রুয়ারি

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)