বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » » ইতিহাসের সাক্ষী: বধিরদের অধিকারের ঐতিহাসিক আন্দোলন যেভাবে সংগঠিত হয়েছিল
ইতিহাসের সাক্ষী: বধিরদের অধিকারের ঐতিহাসিক আন্দোলন যেভাবে সংগঠিত হয়েছিল
পক্ষকাল ডেস্ক-
বধিরদের জন্যে বিশ্বের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের গ্যালাডেট ইউনিভার্সিটি।
ওয়াশিংটন ডিসির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৮ সালে শুরু হয়েছিলো বড় ধরনের এক আন্দোলন। কানে শুনতে পান এরকম একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের কারণে কর্তৃপক্ষকে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করতে হয়।
বলা হয়ে থাকে, আমেরিকায় এই আন্দোলনের ঘটনা বধির মানুষদের প্রতি সারা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করেছিলো।আন্দোলন শুরু হয় যেভাবে
বধির নন এমন এক ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট মনোনীত করার পর শুরু হয় এই আন্দোলন।
প্রথমদিকে ‘একজন বধিরকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চাই’- এই শ্লোগান আর হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে ব্যারিকেডও তৈরি করে তারা । বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লোকজনের প্রবেশে বাধা তৈরি করে তারা ।
আন্দোলন চলে কয়েকদিন ধরে।
বধিরদের অধিকারের জন্যে ঐতিহাসিক এক আন্দোলন
আর গ্যালাডেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বধির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন যিনি তার নাম কিং জর্ডান। তিনি ছিলেন আর্টস এন্ড সায়েন্সেস বিভাগের ডিন। এই ক্যাম্পাসে তিনি কাটিয়েছেন কয়েক দশক- প্রথমে একজন ছাত্র এবং পরে শিক্ষক হিসেবে।
এক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় তিনি তার শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
ওই আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সারাদিন ধরেই এই আন্দোলন চলেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় ছিলো এই আন্দোলনের খবর। টানা সাত দিন ধরে এই খবরটি ছিলো পত্রিকার পাতায়।”
এই গ্যালাডাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বধির কিংবা কানে খাটো। একে অপরের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন ইশারা ভাষার মাধ্যমে।