শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ » ৪৭ ঘণ্টা পর ৬০ ফুট গভীর কূপ থেকে শিশু উদ্ধার
৪৭ ঘণ্টা পর ৬০ ফুট গভীর কূপ থেকে শিশু উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক -
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে খেলার সময়ে হঠাৎই গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। দিনমজুর বাবা-মায়ের ১৮ মাসের ওই সন্তান গর্তে পড়ে যাওয়ায়, স্থানীয় লোকজন দ্রুত পুলিশে খবর দেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে প্রশাসন।
.
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নাওয়াখাওয়া ভুলে দেড় বছরের শিশুকে বাঁচাতে দিনরাত এক করে চলছিল রুদ্ধশ্বাস লড়াই। অবশেষে সার্থক সে লড়াই। ৪৭ ঘণ্টা পর ৬০ ফুট গভীর কূপ থেকে জীবিত অবস্থায় তুলে আনা সম্ভব হয়েছে হরিয়ানার হিসারের সেই শিশুটিকে। ৬০ ফুটের যে কূপে শিশুটি পড়ে গিয়েছিল, তার পাশেই ৭০ ফুটের আর একটি চওড়া কূপ খোঁড়ে এনডিআরএফ ও ভারতীয় সেনার যৌথ উদ্ধারকারী দল। চওড়া কূপ থেকে পাশের কূপে সুড়ঙ্গ কেটে, সেখান থেকে তুলে আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই খুদে বাড়ির সামনে পড়শি বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে কূপে পড়ে যায়। যে ভাবে পড়ে গিয়েছিল প্রিন্স, আজ থেকে ১৩ বছর আগে, কুরুক্ষেত্রে। তাকে উদ্ধার করতেও ৪৮ ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সারা দেশ যখন রঙের উৎসবে মেতে, হরিয়ানার হিসারের রাতজাগা চোখ তখন চেয়ে এক গভীর কূপের অন্ধকারে। বুধবার ৬০ ফুট গভীর কূপে পড়ে যায় ১৮ মাসের এক শিশু।
তখনও উদ্ধার হয়নি, পাঠানো হচ্ছে বিস্কুট…
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে খেলার সময়ে হঠাৎই গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। দিনমজুর বাবা-মায়ের ১৮ মাসের ওই সন্তান গর্তে পড়ে যাওয়ায়, স্থানীয় লোকজন দ্রুত পুলিশে খবর দেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু, অমন কূপ থেকে শিশুকে উদ্ধার পুলিশের কম্ম নয়। দমকলেরও সে অভিজ্ঞাতা নেই। ফলে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এনডিআরএফে খবর যায়। পরিস্থিতি বুঝে শিশুকে উদ্ধারে সেনার কাছেও আর্জি জানায় প্রশাসন। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় এনডিআরএফ ও সেনার উদ্ধারকারী দল। আনা হয় আধুনিক সুড়ঙ্গ কাটার যন্ত্র। উদ্ধারকাজ চলাকালীন বাচ্চাটির শ্বাস নিতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য গর্ত দিয়ে পাইপ নামিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। পাঠানো হয় বিস্কুট ও ফলের রসও।