সরকার ঋণখেলাপিদের আরেকটি সুযোগ দিতে চায়
পক্ষকাল ডেস্ক ২৬ মার্চ- ব্যাংকের ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারা কিছু ব্যবসায়ীকে ‘ঋণখেলাপি’ তকমা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি সুযোগ দিতে চায় সরকার। এসব ঋণখেলাপি মোট ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৭ শতাংশ সুদে ১২ বছরে ওই টাকা পরিশোধের সুযোগ পাবেন। ঋণ নেওয়ার সময় সুদের হার যা-ই থাক না কেন, এই সুযোগ নিয়ে খেলাপি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ হারেই সুদ প্রযোজ্য হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ঋণ শোধ করতে না পারার ‘যৌক্তিক’ কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে নিজের দপ্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ব্যাংক খাতের সমস্যা দূর করতে যে কমিটি করে দিয়েছিলেন, সেই কমিটির সুপারিশেই আমরা ঋণখেলাপিদের এর থেকে বেরিয়ে আসার একটি সুযোগ করে দিচ্ছি। এ সিদ্ধান্ত আগামী মে মাস থেকে কার্যকর হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ব্যাংক খাতে ঋণগ্রহীতা দুই ধরনেরÑ ভালো এবং অসাধু। ভালো ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা বিশেষ সুবিধা দিচ্ছি। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হননি অথবা বেশ কিছু কিস্তি শোধের পর সুনির্দিষ্ট কারণে আর শোধ করতে না পেরে খেলাপি হয়েছেন, তাদের এ সুযোগ দেওয়া হবে। আর যারা অসাধু ঋণগ্রহীতা, অর্থাৎ যারা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হয়েছেন, তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, কারা ভালো ঋণগ্রহীতা তা নির্ধারণের জন্য একটি অডিট কমিটি করে দেওয়া হবে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই খেলাপি ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর পর যারা এই সুবিধা নিতে পারবে না, একেবারেই টাকা পরিশোধ করতে পারবে না, তাদের জন্যও ব্যবস্থা আছে। আমরা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করব। আমাদের ইনসলভেন্সি আইন তৈরি হচ্ছে। এই আইনের আওতায় ননপারফর্মিং ঋণগুলো সব ওই কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।