শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » মন্ত্রী-আমলাদের স্বজনপ্রীতি রোধে আসছে আইন
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » মন্ত্রী-আমলাদের স্বজনপ্রীতি রোধে আসছে আইন
২৬৩ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মন্ত্রী-আমলাদের স্বজনপ্রীতি রোধে আসছে আইন

সরকারি পদে থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার নিকটাত্মীয়-স্বজনকে কোনো ধরনের সুবিধা দিতে পারবেন না- এমন বিধান রেখে একটি নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে আইন কমিশন। এক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনকারীকে সর্বোচ্চ ৭ বছর সশ্রম এবং সর্বনিম্ন ১ বছর কারাদণ্ড দেয়া যাবে।

‘স্বার্থ সংঘাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৯’ শিরোনামের এ খসড়াটি সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ সংক্রান্ত একটি আইনের প্রস্তাব আইন কমিশনে পাঠিয়েছিল। দুদকের প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সরকারি কর্মক্ষেত্রে কোনো কোনো জায়গায় দুর্নীতিকে লাগামহীন করে দিচ্ছে, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ব্যাহত করছে বলেও মন্তব্য করা হয় আইনের খসড়ায়।

এতে বলা হয়, অবসরে যাওয়ার দুই বছরের (২৪ মাস) মধ্যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে (চাকরিরত অবস্থায় যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার কাজের সংশ্লিষ্টতা ছিল) কাজ করতে পারবেন না।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ছেলেমেয়ে, স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোনো দরপত্র কিংবা নিয়োগসংক্রান্ত কোনো কাজে অংশ নিতে পারবেন না।

এমনকি কোনো সচিবের মাধ্যমে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিতে তার পরিবারের সদস্যরা পরিচালক পদে থাকতে পারবেন না। কোনো সরকারি বা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ বা দফতরের কোনো কর্মকর্তা বা পরামর্শক বা সদস্য তার নিজের বা অপর কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে তার দাফতরিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অপর কোনো ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারবেন না।

জানতে চাইলে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বুধবার রাতে টেলিফোনে বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি করা গেলে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আইনের শাসন, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। সরকারি কোনো পদে থেকে অনৈতিক সুবিধা কেউ দিতে পারবেন না। আমি যেখানে চেয়ারম্যান, সেখানে আমার ভাই বা ছেলেকে কাজ দিতে পারব না। এমনকি ওই ভাই বা ছেলের পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকার পরেও নয়।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে মন্ত্রী ও আমলার ক্ষেত্রে কিছুটাতো প্রযোজ্য হবেই।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা স্বজনপ্রীতি ঠেকাতে একটি খসড়া আইন কমিশনে পাঠাই। কি কারণে এ ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে চাকরি করব। আমার কোনো আত্মীয়স্বজন সেখানে আসবে না। তারা আমার প্রতিষ্ঠানের কোনো আর্থিক কাজে অংশ নিতে পারবে না। আমি আমার প্রতিষ্ঠান বলতে সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কথাই বলছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভবিষ্যতের আশায় কেউ কেউ পদে থেকে কাউকে না কাউকে অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছেন। ব্যাংকারের আত্মীয়রা ঋণ পাচ্ছেন। এসব বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এ আইন কার্যকর হলে স্বজনপ্রীতি করার সুযোগ থাকবে না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোনসহ নিকটাত্মীয়রা দফতরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেন। এসব অনিয়ম বন্ধ হবে। আইনে সুনির্দিষ্ট কিছু না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা যায় না। দেশের প্রচলিত আইনটি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তে ব্যবহার করা হবে।

ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, মন্ত্রী বা কোনো সরকারি কর্মকর্তার নিকটাত্মীয় সেই মন্ত্রণালয় বা দফতরে টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন না। এ ধরনের ঘটনা হচ্ছে বলেই স্বার্থ সংঘাত আইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

‘স্বার্থ সংঘাত প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা আইন’র খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এ আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে বা লঙ্ঘনে সহায়তা করলে তাকে সর্বোচ্চ ৭ বছর ও সর্বনিম্ন ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

কেউ ক্রিমিনাল অফেন্সের (ফৌজদারি অপরাধ) উদ্দেশ্যে আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইনের বিধান লঙ্ঘনে সহায়তাকারীকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে।

এমনকি কোনো ব্যক্তি এ আইনের বিধান লঙ্ঘনে উদ্যোগ নিলে বা কাউকে লঙ্ঘনে প্ররোচিত করলে তাকে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

এ আইনের অধীন অপরাধের বিচার করবেন এখতিয়ার সম্পন্ন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিচারিক আদালত। আদালত এ আইনের অধীন কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারবেন এবং বিচার করতে পারবেন। এ আইনের অধীন সব অপরাধ হবে আমলযোগ্য। তবে জামিনযোগ্য।

খসড়া আইনের ১৭(১) ধারায় বলা হয়, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আইনের অধীন প্রদত্ত দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে ‘স্বার্থ সংঘাত প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিশন’ নামে সরকার একটি কমিশন গঠন করবে। যার প্রধান থাকবেন একজন চেয়ারম্যান।

যিনি হবেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। এছাড়া ৪ জন সদস্য থাকবেন। যাদের মধ্যে ১ জন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ সমপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সিভিল সোসাইটি থেকে ৩ জন থাকবেন। যাদের মধ্যে খ্যাতি, সামর্থ্য, সততা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘স্বার্থ সংঘাত প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন সংস্থা হবে। তার স্থায়ী ধারাবাহিকতা থাকবে এবং এ আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, এর স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকবে।

কমিশনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা যাবে। কমিশন সন্দেহভাজন যে কোনো কর্মকর্তার প্রতি সমন জারি করতে পারবে। কমিশনের গোচরীভূত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে আবেদনটি কমিশনের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হলে কমিশন নোটিশ জারি করতে পারবে।

এছাড়া অভিযোগকারীকে নোটিশ দিয়ে প্রাথমিক শুনানির জন্য আহ্বান করবে। তদন্তকালীন কমিশন অভিযুক্তকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ দিয়ে অভিযোগ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দেয়াসহ তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুযোগ দেবে।’

নতুন এ আইনের বিষয়ে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, সংবিধানে ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান আছে। এর জন্য আইনও আছে। এর বাইরে স্বার্থ সংঘাত বা স্বজনপ্রীতি আইন করা হলে প্রশাসনে অনৈতিক প্রবণতা কমে আসবে।

আইনটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড রোধে সহায়ক হবে। তবে আমি মনে করি, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য ন্যায়পাল নিয়োগ করা যুক্তিসঙ্গত। কারণ ন্যায়পাল নিয়োগের বিষয়টি সংবিধানেও রয়েছে। এর জন্য আইনও আছে। তারপরও স্বজনপ্রীতি ঠেকাতে নতুন আইন সহায়ক হবে।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, স্বজনপ্রীতি ঠেকাতে এ ধরনের আইন হতে পারে। কারণ স্বার্থ সংঘাত হওয়া উচিত নয়। তবে দেশে যেখানে দৃশ্যমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেই, সেখানে এ আইনে কতটা পেরে উঠবে সেটাও ভাবার বিষয়। আমি মনে করি, দেশে সুশাসন থাকলে এ জাতীয় আইনের দরকার হয় না। আর সুশাসনের জন্য দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং এটাই আগে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনটির শিরোনামের ‘গ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘স্বার্থ সংঘাত অর্থ হচ্ছে সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বা নিয়োজিত পরামর্শক বা উপদেষ্টারা তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনকালে উপস্থিত সংঘাত বা ওই সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বা নিয়োজিত পরামর্শক বা উপদেষ্টাদের বা অপর কোনো ব্যক্তির মধ্যে বিদ্যমান কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ যা ওই ব্যক্তিদের কর্তব্যকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করে।

অথবা আস্থাহানি ঘটায় অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ বা পরোক্ষ লাভের কারণ হয়। যদিও কোনো স্বার্থ সংঘাত থেকে কোনোরূপ অনৈতিক বা অন্যায় ফলাফল উদ্ভূত না হয় তথাপি তাও এ আইনের অধীন স্বার্থ সংঘাত হিসেবে গণ্য হবে।’

আইনের ভূমিকায় বলা হয়, ব্রিটিশ আমলে ভারতে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা ও কার্যক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ১৯৪৭ সালে প্রথম আইন প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে দেশ ভাগের পরে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরে দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী আইন প্রণয়ন করলেও আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের সরকারি দায়িত্ব পালনকালে উদ্ভূত স্বার্থ সংঘাত থেকে নিরসন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সুস্পষ্ট আইন প্রণয়ন করেনি।

যা এদেশে সরকারি কর্মক্ষেত্রে দুর্নীতিকে কোনো কোনো জায়গায় লাগামহীন করে দিচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ উন্নত বিশ্বে এ ধরনের আইন বিদ্যমান আছে।

এ বাস্তবতায় দুদক থেকে প্রাপ্ত অনুরোধের সূত্রে আইন কমিশন তার নবম দ্বিবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০১৯ এর আওতায় ‘স্বার্থ সংঘাত প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১৯’ প্রণয়নের লক্ষ্যে আইনের খসড়ার কাজ হাতে নেয়।

প্রস্তাবিত আইনের একটি অধ্যায়ে বলা হয়, ‘কেউ যদি একটি সরকারি দফতর থেকে অবসর গ্রহণের ১২ মাস পর এমন একটি এনজিও প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত হন, যার সঙ্গে চাকরিতে (পদ) থাকাকালীন যোগাযোগ ছিল। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির এ ধরনের নিয়োগ স্বার্থ সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে। উদাহরণ হিসেবে আরও বলা হয়, জনাব ‘ক’ এনবিআরের চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিভিন্ন এনজিওকে কর অবকাশ প্রদানের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করেন। অবসর গ্রহণের ১৫ মাস পর তিনি একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। যা তার পূর্বে প্রণীত নীতিমালা দ্বারা কর রেয়াতপ্রাপ্ত হয়েছিল। এক্ষেত্রে ‘ক’ এর ওই নিয়োগ স্বার্থ সংঘাত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরেকটি বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, ‘একজন চিকিৎসক (ধরা যাক তার নাম ‘ক’) একটি হাসপাতালের ডাক্তার হিসেবে নিয়োজিত থাকাকালীন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাকে (ডাক্তার) একটি ফ্ল্যাট প্রদান করে। সরেজমিন ওই ডাক্তারকে তার কর্মক্ষেত্রে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সরবরাহ করা ‘টেস্ট ক্যাটালগ’ বইয়ে টিক দিয়ে রোগীদের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন। এটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে ওই চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা এর মালিক এ আইনের আওতায় অভিযুক্ত হবেন।’

খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, ‘কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একটি কোম্পানিকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণদান করল। ওই কোম্পানি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্যের পারিবারিক মালিকানাধীন যা পরিচালনা পর্ষদের বেশিরভাগ সদস্য জ্ঞাত ছিলেন। ওই পরিচালনা পর্ষদের দু’জন সদস্য ওই ঋণদানের বিরোধিতা করেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে ঋণটি মঞ্জুর হয়। পরিচালনা পর্ষদের বিরোধিতাকারী ওই দু’জন পর্ষদ সদস্য ছাড়া বাকি সদস্যরা এ আইনের আওতায় অভিযুক্ত হবেন। বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনের একজন পরিচালক জনাব ‘ব’ যোগসাজশ করে যদি একটি কোম্পানির শেয়ারের অবৈধ মূল্যবৃদ্ধি করেন তাহলে ওই পরিচালকও এ আইনের আওতায় আসবেন।’

সুত্র -যুগান্তর



এ পাতার আরও খবর

রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত
মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে  তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় আদালতে তিনজন সন্দেহভাজন দোষী সাব্যস্ত
চীনের  গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন চীনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোমবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ব্রিটেন
রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রমজানে হামলা সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে
ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার ধর্ষণের অভিযোগের মুখে ট্রাম্পের সমর্থনের পক্ষে ন্যান্সি মেস, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার
সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুললেন নিখিল সংসদে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুললেন নিখিল
চোরাই অটো রিক্সাও ব্যাটারিসহ ২ জনকে আটক করেছেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। চোরাই অটো রিক্সাও ব্যাটারিসহ ২ জনকে আটক করেছেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।
নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সীমান্তের ওপার থেকে আসা গোলার আঘাতে দুই জন নিহত সীমান্তের ওপার থেকে আসা গোলার আঘাতে দুই জন নিহত
বর্ডারগার্ড (বিজিবি) সদস্যদেরকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডারগার্ড (বিজিবি) সদস্যদেরকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)