হাত নেড়ে বাঁচার আকুতি
পক্ষকাল সংবাদ- : বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগায় চারদিকে ধোঁয়ার অন্ধকারে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে ভবনে আটকা পড়া মানুষের। চোখ আর মুখে একটু পর পর ওড়না দিয়ে চেপে ধরতে হচ্ছে। পুরুষরা গায়ের শার্ট খুলে নিয়ে চেপে ধরছেন নাক-মুখে। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে আগুনের লেলিহান শিখা। ১৯ তলা ভবনের উপরের ফ্লোরগুলো থেকে নিচে নামার কোনো উপায় নেই। যমুনা টিভি
বৃহস্পতিবার বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর এসব দৃশ্য দেখা গেছে বিকাল সাড়ে চারটার দিকেও। ধোঁয়ার তোপে বুঝার উপায় নেই আগুন থেকে তারা কত দূরে আছেন। আগুন দূরে থাকলেও ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কেউ ভবনের দেয়াল হিসেবে থাকা কাঁচের ক্লাস ভেঙে কোনো মতে মুখ বাড়িয়ে হাত দিয়ে ইশারা করছেন বাইরের দিকে। দেখে বুঝা যাচ্ছে চিৎকার করছেন। কিন্তু কী বলছেন কারো বুঝার উপায় নেই।
অসহায় মানুষের আকুতিতে সাড়া দেয়ার চেষ্টা করছেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ক্রেন আর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুয়েকজন করে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে অভিশপ্ত ভবনটি থেকে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, থেমে থেমে আগুন জ্বলে উঠছে। কখনো পানির ঝাপটায় আগুনের তোপ কিছুটা কমে এলেও কিছুক্ষণ পর আবারও লাল হয়ে উঠছে শিখা।
তবে পাঁচনের লাশ গ্রহণ করার কথা জানা গেছে।
বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে ভবনের পাশ ঘেঁষে থাকা পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে গড়িয়ে পড়েছেন। তবে তাদের সর্বশেষ অবস্থা জানা যায়নি।
ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টিম উদ্ধার কাজে নেমেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার আটকে পড়াদের উদ্ধার করছে।