বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি | বিনোদন » খুলে দেওয়া হল ভারতীয় ভারতীয় জি নেটওয়ার্কের চ্যানেল গুলো
খুলে দেওয়া হল ভারতীয় ভারতীয় জি নেটওয়ার্কের চ্যানেল গুলো
পক্ষকাল ডেস্ক-
সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ভারতীয় টেলিভিশন জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলো দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের দর্শকরা।
এর আগে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা এক নোটিশে আইন লঙ্ঘন করে বিদেশি টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন কেন প্রচার করা হচ্ছে, জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশে ওই চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠান জাদু ভিশন লিমিটদেসতবে বুধবার থেকে জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার আবার শুরু হয়েছে নিশ্চিত করে জাদু ভিশন লিমিটেডের কাস্টমার সার্ভিস কর্মকর্তা কাজী মাহফুজুর রহমান বলেন, সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর উপধারা-১৯(১৩) এর বিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে ডাউনলিংক করা বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করায় জাদু ভিশন লিমিটেডের পাশাপাশি নেশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডকে সোমবার কারণ দর্শাও নোটিস পাঠায় তথ্য মন্ত্রণালয়।
সাত দিনের মধ্যে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে কারণ নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়।
কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯(১৩) ধারায় বলা হয়েছে, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করা যাবে না।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশে বিদেশি কোনো চ্যানেলে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যায় না। শুধু দেশীয় বিজ্ঞাপন নয়, কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো যায় না, এটি হচ্ছে বাংলাদেশের আইন। একই ধরনের আইন ভারত, যুক্তরাজ্য, ইউরোপেও আছে।
“বাংলাদেশে এ আইনটি মানা হচ্ছিল না এবং এ আইনটি প্রয়োগ করা হয়নি। এ কারণে যেটি হয়েছে, বাংলাদেশের টিভিগুলো যে বিজ্ঞাপন পেত তার বড় অংশ চলে গেছে ভারতে।”
বাংলাদেশের শিল্পকে সুরক্ষা দিতেই আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং এ আইন প্রয়োগ করার আগে দুমাস ধরে প্রচারণা করেছি। তিন দফা নোটিস দিয়েছি।
১ এপ্রিলও যখন দেখতে পেলাম বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হচ্ছে, তখন আমরা আইন মোতাবেক নোটিস দিয়েছি।
এ বিষয়ে আলোচনার জন্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে বুধবার বিকালে বৈঠক করার কথা রয়েছে কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব)।
কোয়াব নেতা সেলিম সারোয়ার বলেন,“বৈঠকে তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার পর আমরা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।”