বিসিআইসির থ্রি লিজেন্ড
বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও এর ছোঁয়া লাগেনি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনে (বিসিআইসি)। নানা দুর্নীতি জালিয়াতি ও অপকর্মের হোতা হয়েও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিসিআইসিতে বহাল তবিয়তেই রয়ে গেছেন শীর্ষ পদস্থ তিন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। যাদেরকে ঠাট্টা করে একসঙ্গে ‘থ্রি লিজেন্ড অব বিসিআইসি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন কেউ কেউ। এই কর্মকর্তাদের দু’জন পরিচালক ও একজন মহাব্যবস্থাপক পদে রয়েছেন। পরিচালক দু’জন নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের হলেও এদের মধ্যে লুৎফর রহমানকে করা হয়েছে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন দফতরের পরিচালক ও শাহীন কামালকে করা হয়েছে উৎপাদন ও গবেষণা দফতরের পরিচালক।
লুৎফর রহমান স্থায়ী পরিচালক হিসেবে ও শাহীন কামাল চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বাণিজ্য বিষয়ের ছাত্র লুৎফর রহমান, কিন্তু তাকে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উৎপাদন ও গবেষণা পরিচালকের পদটি মূলত প্রকৌশলীর হলেও এ পদের দায়িত্বে রয়েছেন বাণিজ্য বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করা শাহীন কামাল।
জানা যায়, লুৎফর রহমান পরিচালক হিসেবে স্থায়ী হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদে বিসিআইসি’র পরিচালক পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু এই জালিয়াতির কোনো সুরাহা না করেই লুৎফর রহমানকে পরিচালক পদে স্থায়ী করা হয়। গড়িমসি করা হয় এই জালিয়াতির ঘটনা তদন্তেও।
সূত্র জানায়, লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেয়ার অভিযোগ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি পাঠায় (স্মারক নং-দুদক/ অভি:যাচাই-বাছাই/৩৪৭-২০১৭/২২৩৮৬) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে বিসিআইসি’র তৎকালীন পরিচালক (অর্থ) ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব হাইয়ূল কাইয়ূমকে আহ্বায়ক করে ২৪ সেপ্টেস্বর, ২০১৭ তারিখে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়, বর্তমানে যিনি সংস্থাটির চেয়ারম্যান পদে আছেন। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হলেও দুই বছরেও সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। মূলত কালক্ষেপণ করে লুৎফর রহমানের জালিয়াতি ধামাচাপা দিতেই এই প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিসিআইসি’র ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন লুৎফর রহমানকে স্ব-পদে বহাল রেখে তার এই জালিয়াতির নিরপেক্ষ তদন্ত কার্যক্রম সম্ভব নয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তারা বড় পদ দখল করে রাখলে স্বাভাবিকভাবে অন্য সৎ কর্মকর্তাদের মনের উপর প্রভাব সৃষ্টি হয়। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উপর প্রশ্ন উঠে।
একই অপরাধে অন্যদের শাস্তি, বহাল তবিয়তে লুৎফর
২০১১ সালে বিসিআইসিতে চাহিদার চেয়ে কম অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এরপর অভিজ্ঞতা জালিয়াতি করে বিসিআইসিতে চাকরি নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান মোল্লা ও বেগম ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বিসিআইসির চেয়ারম্যান ও বিসিক চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিসিআইসির কর্মকর্তা চৌধুরী ইসরাত শামীমের নিয়োগের সময় ৮ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ থাকলেও তার অভিজ্ঞতা ছিল ৭ বছর ২ মাস ১৯ দিনের। রফিকুল ইসলামের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল ১০ বছর; কিন্তু তার ছিল ৭ বছর ৪ মাস ১ দিনের। এএইচএম মনিরুল ইসলাম খানের অভিজ্ঞতা ছিল ৬ বছর ১১ মাস ২৮ দিন। তাদের তিনজনের নিয়োগ শর্তানুযায়ী অভিজ্ঞতা ছিল না। তারা বেআইনিভাবে চাকরি করছেন। যেহেতু তাদের নিয়োগ অবৈধ ছিল, সেহেতু তাদের সরাসরি বরখাস্ত করে চাকরীকালীন গৃহীত সমুদয় অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বৈঠকে। শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ইসরাত শামীমকে কর্মচারী প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক, রফিকুল ইসলামকে বিসিআইসির সচিব পদ থেকে সরিয়ে বর্তমানে ঢাকা লেদার কমপ্লেক্সের এমডি এবং মনিরুল ইসলামকে অবসরোত্তর ছুটিতে পাঠানো হয়। অথচ একই ধরনের জালিয়াতির ঘটনায় ওই তিন কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরানো হলেও লুৎফর রহমানের জালিয়াতির ঘটনা থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদবিরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩০ মে, ২০১৭ তারিখে প্রজ্ঞাপন জারি করে লুৎফর রহমানকে বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থায় (বিসিআইসি) স্থায়ী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। অথচ এই প্রজ্ঞাপন জারির আগেই ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদপত্র দাখিল করে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) হিসেবে কর্মরত লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে।
অর্থ আত্মসাত করেও প্রমোশনে শাহীন কামাল
বিসিআইসি’র হিসাব নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালনকালে শাহীন কামালের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার বানিয়ে অন্তত ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। কিন্তু এতে কোনো শাস্তিই হয়নি শাহীন কামালের। বরং দুর্নীতির পুরস্কার হিসেবে পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয় তাকে। শুধু তাই নয় এই পদোন্নতির মাধ্যমে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে খোদ সংসদীয় কমিটিকে। শাহীন কামালসহ ৫ জনের অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মেলায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয় সংসদীয় কমিটি। কিন্তু এই আইনগত ব্যবস্থা শুধুমাত্র কয়েকজনকে বদলি করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে শাহীন কামালের ক্ষেত্রে সেটিও হয়নি, বরং পদোন্নতি দিয়ে পরিচালক পর্যন্ত করা হয়েছে।
শাহীন কামালের বিরুদ্ধে সভা করার এখতিয়ার না থাকলেও বিভিন্ন সভার নাম করে আপ্যায়ন ভাতা তোলা, অযৌক্তিক ভ্রমণ বিল নেয়ার সত্যতা পায় শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নির্দেশে গঠিত কমিটি। তদন্ত কমিটির ভাষ্য মতে, অযৌক্তিক ও এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে সভা আহ্বান করে বিল তুলে ক্ষমতার লঙ্ঘন করা হয়েছে। দরকার না থাকলেও বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ ব্যয় দেখানো হয়েছে। তদন্ত কমিটি বলছে, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১৩৪ টি সভা দেখানো হয়েছে। সার আমদানিসংক্রান্ত কোনো সভা করার এখতিয়ার না থাকলেও সেই সভাও তারা করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে। হিসাব বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭০ টাকা সভার নামে আপ্যায়ন বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৫৮৬ টাকা ভুয়া ভ্রমণ বিলের হিসাব দেখানো হয়। ২০১৭ সনের মার্চে দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সার আমদানিসংক্রান্ত বিষয়ে হিসাব নিয়ন্ত্রকের কক্ষে গত বছরের এপ্রিল মাসে ১৬ দিন সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়। ০৩ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক সভা অনুষ্ঠানের কথা বলে আপ্যায়ন বাবদ ৬ হাজার ৯৩৮ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ১৩ টি সভার নামে আপ্যায়ন বাবদ ৫ হাজার ৬৮১ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। বিসিআইসি’র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে তারা দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন তাই তাদের বদলি করা হয়েছে। কিন্তু অন্য কর্মকর্তাদের বদলি করা হলেও মূল নায়ককে পুরস্কৃত করে পরিচালক করা হয়।
ফৌজধারী মামলার আসামি হয়েও বহাল তবিয়তে মমতাজ বেগম
ফৌজদারী মামলার প্রধান আসামি হলেও বরখাস্ত না হয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বিসিআইসি’র মহাব্যবস্থাপক মমতাজ বেগম। অথচ তার বিরুদ্ধে ওই মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এমনকি দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় বিসিআইসি’র প্রধান কার্যালয়ের বাইরে বদলি করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। অধিকন্তু শাস্তি তো দূরের কথা নিয়মমাফিক সব পদোন্নতি ও সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।
জানা যায়, দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয় পত্র স্মারক নং-শিম/স্বস(বিসিআইসি)/অভিযোগ-১/২০০৯/৮৪১, ৩১ আগস্ট, ২০০৯ তারিখ প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে মমতাজ বেগমকে বিসিআইসি প্রধান কার্যালয়ের বাইরে বদলিপূর্বক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরকরণের নির্দেশ দেয়া হয়। অপরদিকে এএফসিসিএল নিয়োগে সরকারি কোটা অনুসরণ না করার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ০৮/০৩/২০১৬ তারিখে (বিসিআইসি সূত্র নং-৩৬.০৯১.০২৭.০১.০২. ৪৬১২.২০১৬/৪৪৫ থেকে ৪৫১ পর্যন্ত) মোট সাত জন কর্মকর্তাকে ভবিষ্যতে সংস্থা বা কারখানা পর্যায়ের কোন ধরনের নিয়োগ কার্যক্রমে দায়িত্ব প্রদান না করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এছাড়া, বিসিআইসি’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ০৬ এপ্রিল, ২০১৬ তারিখে বিসিআইসি সূত্র নং-৩৬.০৯১.০২৭.০১.০২.১৬৭৫. ২০১৫/৫০০ পত্রের জবাবে মমতাজ বেগমের গোমর ফাঁস করে কর্তৃপক্ষের কাছে সত্য উপস্থাপন করেন। উক্ত জবাবে তিনি জানান, মমতাজ বেগম চাকরিতে যোগদানের সময় নিয়োগ বিধি বা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ব্যতিরেকে সরাসরি নিয়োগ লাভ করেন। সেটা নিয়োগ বিধি পরিপন্থি। এদিকে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে মমতাজ বেগম পুনরায় নিয়োগের দায়িত্ব নিয়ে ২০১৬ সনে ব্যাপক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছেন।
সূত্র জানায়, মমতাজ বেগম ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ-বিধির ৪০৬, ৪২০, ৪২২, ৫০৬ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ আদালত নং-৪, এর দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-২০/২০১৮ এ করা ঘোষণামূলক মামলায়ও মমতাজ বেগম একজন বিবাদী। অথচ এতো কিছুর পরও এমনকি নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিসিআইসিতে বেশ দাপটের সাথে দিন কাটাচ্ছেন এমআইএস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মমতাজ বেগম। তার কাছে ক্ষমতার অপব্যবহার হাতের মোয়া। কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং তার মনমতো না হলে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে মমতাজ বেগম বিশেষ পারদর্শী। সিওপি থাকাকালীন তিনি কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই দু’জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে চাকরিচ্যুত করেছেন। বিসিআইসি’র একজন কর্মচারী দুর্নীতির অবসান চেয়ে মমতাজ বেগমকে বিবাদী করে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেছেন (নং ২৬৯৩/২০১৭)। মামলার সূত্র ধরে ১৪ জুন, ২০১৭ তারিখে স্মারক নং-১৮৭৯২ এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন মমতাজ বেগমের নিয়োগ কর্মকা-ের তদন্ত শুরু করে। বিসিআইসিতে শাহ মো. আমিনুল হক চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর মমতাজ বেগমকে বাধ্য হয়ে কর্মচারী প্রধানের পদ থেকে বদলি করেন। কিন্তু মমতাজ বেগম কর্মচারী প্রধানের পদে ফিরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। বিসিআইসি’র কর্মকর্তাদের অভিযোগ, এই দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কর্মচারী প্রধানের পদে ফিরে এলে বিসিআইসিকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাবেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালে নিয়োগ দুর্নীতির পরও কর্মচারী প্রধানের (সিওপি) দায়িত্ব নিয়ে ২০১৬ সালে ৭৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগে মেধাতালিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়কে বাদ দিয়ে ও অনুমোদনের আগেই খন্ড ফলাফল প্রকাশ করে কারসাজির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করেন মমতাজ বেগম।
—সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজের সৌজন্যে: