শোভন-রাব্বানী-সাদ্দাম দ্বন্দ্ব, ভাংচুর?
ডেস্ক ১৩ এপ্রিল- বৈশাখ বরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ যে কনসার্টের আয়োজন করেছিল, সংগঠনের অন্তর্কোন্দলে একটি পক্ষ আগের রাতে সেখানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে।
একটি কোমল পানীয়র সহযোগীতায় চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ বরণে ১৩ ও ১৪ এপ্রিল ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চত্বরে এমন আয়োজন করেন। এতে বাংলাদেশের খ্যাতনামা সংগীত তারকারা গান পরিবেশন করবে।
এই আয়োজনের মঞ্চ তৈরিসহ সামগ্রিক প্রস্তুতি নেওয়ার সময় একদল গিয়ে মঞ্চ ভাংচুর এবং বিভিন্ন উপকরণে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জানা যায়, রাত ১ টার দিকে এই হামলা হয়। ২০-২৫ জনের একটি দল প্রথমে গণ্ডগোল বাধায়। কিন্তু আয়োজকরা তখন বাধা দিলে ১০০-১৫০ জন এসে ১০-১২ মিনিটের মধ্যে পুরো জায়গায় ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়।
ছাত্রলীগের আয়োজনের কোন অনুষ্ঠানে এমন ভাংচুর করবে কার সাহস আছে? ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কিছুক্ষণ পর হাজার খানেক নেতা-কর্মী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন। তারা এসে কর্তৃপক্ষকে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সে সময় ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন কিংবা তার অনুসারী কোনো নেতাদের দেখা যায়নি।
তাহলে আসল ঘটনা কি হলো? সংগঠনের এত বড় আয়োজন নিয়ে সভাপতি শোভনকে কিছু জানানো হয়নি। আর এতেই তিনি ও তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে রাব্বানী বলেন, ‘প্রোগ্রামটি মূলত ছাত্রলীগ এবং ডাকসুর আয়োজনে করা হচ্ছে। এই প্রোগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইনকে। তিনি ছাত্রলীগের সভাপতিকে কমপক্ষে ৮-১০ বার ফোন দিয়েছেন, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাকে তা এসএমএস করেও জানানো হয়।’
জানা গেছে এই ঘটনার পর রাতেই হলে শোভন সমর্থক কয়েকজনের উপর হামলা করা হয়। দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী সাগর রহমানকে মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শোভনের অনুসারী তুষার এই হামলার দায় সাদ্দাম হোসেনের উপর চাপায়। তবে সাদ্দাম হোসেন দাবি করেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।