বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি » তিতাস গ্যাসে দুর্নীতির ২১ উৎস, নির্মূলে ১২ দফা সুপারিশ
তিতাস গ্যাসে দুর্নীতির ২১ উৎস, নির্মূলে ১২ দফা সুপারিশ
পক্ষকাল ডেস্ক- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডে অনুসন্ধান চালিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতির ২১টি উৎস চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটির ‘প্রাতিষ্ঠানিক টিমের’ এই অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতি নির্মূলে ১২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে প্রতিবেদনটি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর হাতে তুলে দেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান। প্রতিবেদন প্রণয়নে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এই প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
২১টি সম্ভাব্য দুর্নীতির উৎস: অবৈধ সংযোগ, নতুন সংযোগে অনীহা এবং অবৈধ সংযোগ বৈধ না করা, অবৈধ লাইন পুনঃসংযোগ, অবৈধ সংযোগ বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়া, অদৃশ্য হস্তক্ষেপে অবৈধ সংযোগ, গ্যাস সংযোগে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ না করা, বাণিজ্যিক শ্রেণীর গ্রাহককে শিল্প শ্রেনীর গ্রাহক হিসেবে সংযোগ প্রদান, মিটার টেম্পারিং, অনুমোদনের অতিরিক্ত বয়লার ও জেনারেটর এ গ্যাস সংযোগ, মিটার বাইপাস করে সংযোগ প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতি, এস্টিমেশন অপেক্ষা গ্যাস সরবরাহ কম করেও সিস্টেম লস দেখানো, ইচ্ছাকৃতভাবে ইভিসি-ইলেকট্রনিক ভলিয়ম কারেক্টর না বসানো ইত্যাদি।
এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন ১২ দফা সুপারিশ করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: মিটার টেম্পারিং রোদে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের অপচয় বন্ধ করতে ডিস্ট্রিবিউশন এবং গ্রাহক উভয় ক্ষেত্রে প্রিপেইড মিটার চালু করা, মোবাইল কোর্টের আদলে আকস্মিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
দুদকের প্রতিবেদনা বলে হয়, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এসব সুপারিশ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হলে এ সকল খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানি কমে যাবে এবং সরকারি দপ্তরগুলোতে বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা অনেকাংশে কমে আসবে। আমরা মনে করি পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি সেবা প্রদানের পথকে মসৃণ করা যেতে পারে। কমিশন চায় দূর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধ করতে। তাই কমিশন বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক টিমের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর বা সংস্থার দুর্নীতি উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধের সুপারিশ প্রণয়ন করে সরকারের নিকট প্রেরণ করছে।