সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » দলীয় সিদ্ধান্তেই শপথ নিয়েছি: বিএনপির চার এমপি
দলীয় সিদ্ধান্তেই শপথ নিয়েছি: বিএনপির চার এমপি
পক্ষকালসংবাদ ডেস্ক-
বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সময়সীমার শেষ দিনে এসে সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নিলেন একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত আরও চারজন।
যদিও শপথ গ্রহণের পর একজন সংসদ সদস্য বলেছেন তারা বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন চার এমপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই শপথ গ্রহণ করেছেন।
আজ চারজন শপথ নেয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির যে ছয়জন নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে দলটির মহাসচিবই ছাড়া বাকী সবাই শপথ নেয়া শেষ হলো।
আজ যারা শপথ নিলেন তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো: আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো: হারুন অর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুল সাত্তার ভুঁইয়া।
গত ৩০শে ডিসেম্বর সম্পন্ন হওয়া সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে ছয়জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান আগেই শপথ নিয়েছেন।
আজ আরও চারজন শপথ নেয়ায় দলটির একমাত্র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই শপথ নেয়া থেকে বাকী রইলেন।
শপথ গ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বাইরে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন শপথগ্রহণকারীদের একজন হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্তেই আমরা শপথ নিয়েছি। এখানে দলের মুখপাত্র হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে”।
তবে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে মহাসচিব কেনো শপথ নিতে আসলেননা,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনিই বলতে পারবেন”।
শপথ নেয়ার বিষয়ে কোনো চাপ ছিলো কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে হারুণ অর রশীদ বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্তে আমরা শপথ নিয়েছি। তবে কারও কারও ওপর চাপ ছিলো। সাদা পোশাকে কিংবা দেশে যে গুম খুন চলছে তেমন চাপের শিকার হয়েছেন কেউ কেউ”।
শপথ গ্রহণ কারীদের আরেকজন উকিল আব্দুস সাত্তার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন তারা দলের সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত হলে মহাসচিব কেনো শপথ নেননি এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেছেন, “এটি মহাসচিবের ব্যক্তিগত বিষয় তিনি শপথ নেবেন কি নেবেননা। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তে নিয়েছি। এখন মহাসচিবই তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তিনি কেনো শপথ নেননি বা নেবেন কি-না তার ব্যাখ্যাও মহাসচিবই দিতে পারবেন”।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির নির্বাচিতদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ না করার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো।
নিয়মানুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথ নিতে হয়।
তবে স্পীকার চাইলে ওই সময় বাড়াতে পারেন।
কিন্তু যদি শপথ নির্বাচিত কেউ না নেন এবং স্পীকারও সময় না বাড়ান তাহলে ওই আসনে নতুন করে নির্বাচনের বিধান রয়েছে।
বর্তমান সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিলো গত ৩০শে জানুয়ারি এবং সে হিসেবে আজই নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণের সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার কথা।
আজ বেলা পাঁচটার দিকে নির্বাচিত চারজন সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন।
পরে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে গণফোরামের মোকাব্বির খানও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
তবে বিরোধী জোট থেকে নির্বাচিতদের মধ্যে প্রথম শপথ নিয়েছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।