শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন- থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন- থানার ওসিকে প্রত্যাহার
পক্ষকাল প্রতিবেদক
শেরপুরে এক অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আমিনুল ইসলাম।
আগামী ১৮ জুন নকলা উপজেলা নির্বাচনের পর তাকে প্রত্যাহার করা হবে বলে জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই ঘটনায় নকলা থানার এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করে শেরপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি সকালে সাংবাদিকদের বলেন, নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের আদেশ হয়েছে। তবে আমরা এখনও আদেশের কপি পাইনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. বিল্লাল হোসেনও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের আদেশ হয়েছে বলে জেনেছি। তবে এখনও অফিসিয়াল কোনো আদেশ আমরা হাতে পাইনি।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে শেরপুরে নকলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ডলি খানম নামে এক অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন এবং ওই নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ ওঠেছে। নকলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করলেও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ১২ জুন নকলা থানা পুলিশ নির্যাতিতাকে বাদী করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। ওই মামলায় নাসিমা আক্তার (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করলে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভুঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভিকটিম পরিবারের সাথে কথা বলেন।
এদিকে, জেলা পুলিশের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও শুক্রবার পুলিশ সুপারের নিকট তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
তদন্তে নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ এবং এসআই ওমর ফারুকের কর্তব্যে অবহেলা ও গাফলতির বিষয়টি উঠে আসে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ইউএনবি।