রবিবার, ৭ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি » ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে সরঞ্জাম কেনাকাটায় ডাকাতি
ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে সরঞ্জাম কেনাকাটায় ডাকাতি
পক্ষকাল ডেস্ক-
নেই কোন কার্যালয়, ভরসা শুধু ফোন নম্বর। এমন প্রতিষ্ঠানই পেয়েছে প্রায় সাত কোটি টাকার কাজ। কোন কোন পণ্য কেনা হয়েছে প্রায় ৫০গুন বেশি দামে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় হয়েছে এমন পুকুর চুরি। ঘটনা তদন্তে এরইমধ্যে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।
চিকিৎসাসেবায় এরই মধ্যে প্রশংসা পেয়েছে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতাল। কিন্তু কিছু অসাধু সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে অনিয়মের বেড়াজালে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে হাসপাতালটির চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় ঘটেছে অবিশ্বাস্য ঘটনা। সাতকোটি টাকার ২০০টি পণ্যের মধ্যে বেশকিছু কেনা হয়েছে বাজার মুল্যের চেয়ে প্রায় ২০ থেকে ৫০ গুন বেশি দামে।
১. ১৩০ টাকা বাজার মূল্যের ক্যাথার মাউন্ট কেনা হয়েছে চার হাজার টাকা করে। মানে ৬৫ হাজার টাকার পন্য কেনা হয়েছে ২০ লাখ টাকা দিয়ে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএইচআর সামগ্রীর মূল্য তালিকায় এর দাম ৬৬টাকা। সে অনুযায়ী ৩৩ হাজার টাকার পন্য কেনা হয়েছে ২০ লাখ টাকায়।
২. এইচ এম ই ফিল্টার। চারহাজার টাকা করে কেনা এই পণ্যটি বাজারে বিক্রি হয় ১৪০ টাকায়। ২০ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে ৭০ হাজার টাকার জিনিস।
৩. ২০০টি সিভিপি মনোমিটারের কেনা হয়েছে ১১লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ২১৮ টাকার পণ্য হয়ে গেছে ৫হাজার ৮০০টাকা।
দুই ধাপে কেনা পন্যগুলোর মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি পণ্যের ক্ষেত্রে হয়েছে এমন তুঘলকি কান্ড।
পন্যের টেন্ডারের দাম বাস্তবের সাথে মেলাতে বাজারে যাবার পর ব্যবসায়ীরাও আতক উঠলেন সব শুনে।
এবার জানা দরকার, কোন সেই প্রতিষ্ঠান, যারা সররবাহ করলো সরঞ্জামগুলো।
অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, টেন্ডারে অংশ নেয়া ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভিক্টোর ও এবি ট্রেডিং করপোরেশন নামের দুটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছিলো ৬৩ কোটি টাকার এই টেন্ডার। কাগজপত্রে দেয়া ঠিকানার সাথে বাস্তবের মিল আকাশ - পাতাল। এমন কোন নামই শোনেনি এবি করপোরেশন ঠিকানার ভবনের লোকজন।
আরো বিস্ময় ভিক্টর ট্রেডিংয়ের ঠিকানায় যেয়ে। এমন কোন হোল্ডিং নম্বরই নেই আগারগাও এলাকায়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক একই ব্যক্তি। শুধু ফোন নম্বরই যার ভরসা। দেখা করতে চাওয়ার পর কেটে গেলো তার ফোন।
তবে, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, সরকারি ক্রয়বিধি মেনেই কেনাকাটা করেছেন তারা।
বিষয়টি নজরে আনার পর নিয়ম বহির্ভুত বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন স্বাস্থ্য সচিব।
এবারের বাজেটে সরকারের স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৫,৭৩২ কোটি টাকা। যার মধ্যে বেতন ভাতা বাদ দিলে উন্নয়ণ ব্যয় আনুমানিক ১২,২৬৭ কোটি টাকা।
সুত্র-নিউজ ২৪