শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
পক্ষপকাল ডেস্ক- ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে । তবে, সকাল ৯টায় ৪৮ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে এলে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও বিকাল ৩টায় ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও বিকাল ৩টায় ওই পানি কমে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া তিস্তা অববাহিকায় হলুদ সংকেত জারি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
পাউবোর গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নুরুল ইসলাম জানান, উজানের ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি সব স্লুইস গেট (জলকপাট) খুলে রাখা হয়েছে।
তিস্তাপাড়ের মানুষরা বলছেন, তিস্তা নদীর পানি কমেনি বরং আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার ভয়ঙ্কর।
সূত্র জানায়, দুপুরে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ার। তিনি ডিমলা উপজেলার ফরেস্টের চর, ছোটখাতার চরসহ বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও রাত ৯টায় ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ১৫টি চর ও চরগ্রামের ১৫ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার (১৩ জুলাই) ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহীনুর আলমসহ ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার তিস্তার বাঁধে আশ্রয় নেওয়া বানভাসীদের খোঁজখবর নিয়ে তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা এসএ হায়াত জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষে ডিমলা উপজেলার বানভাসীদের জন্য শনিবার ১৫০ মেট্রিকটন চাল, দেড় হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আগে ৫০ মেট্রিকটন চাল, ৫০ হাজার টাকা ও ৫শ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
ত্রাণ কর্মকর্তা আরও জানান, এছাড়া অতিরিক্ত ৫শ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবারের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, মানুষজন তিস্তার ডান তীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। ডিমলা উপজেলার খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর এলাকার স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত তিনটি বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন