মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ
ডেস্ক পক্ষকাল-১৬ই জুলাই-
১২০ ঘণ্টা ধরে রোদ, ঝড় ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে ধানমন্ডি থেকে টুঙ্গিপাড়া ১৫০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অহিংস প্রতিবাদ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোকে অনুপ্রবেশকারী মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ফিরিয়ে আনার দাবিতে পদযাত্রা শুরু করেছিল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।গত ১০ জুলাই সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, রাজাকার ও এদের বংশধরদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতৃবৃন্দ মোট ১২০ ঘণ্টা(৫ দিন) পায়ে হেঁটে অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ জানায়।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহবায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আকম জামাল উদদীনের নেতৃত্বে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় আরো অংশগ্রহণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন, যুগ্ম-আহবায়ক শরিফুল হাসান শুভ, সোহেল মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান পিয়াস মোঃ রাব্বী হাসান শাওন।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার সমাধিতে যাওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা। যুদ্ধাপরাধী, জামাত ও তাদের সন্তানদের আওয়ামী লীগের সদস্যপদ দেয়া হবে- ওবায়দুল কাদেরের সম্প্রতি দেয়া এধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, ‘আমরা ধানমন্ডি থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত পায়ে হেঁটে এসে জাতির পিতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মরা মনে করে যে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল এবং সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের সাহেবের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী বক্তব্য একই সূতোয় গাঁথা। প্রতিবাদ না করলে কিছুদিন পর হয়তো ওবায়দুল কাদের সাহেব বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পরিবারের সন্তানদের আওয়ামী লীগের সদস্য করা হবে এরকম কথাও তিনি বলতে পারেন।’
তিনি বলেন, এজন্যই শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের অহিংস প্রতিবাদ চলছে। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পোঁছে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দোয়া এবং নীরবতা পালন করে শপথ বাক্য পাঠ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমরা কখনোই হারাতে দিবো না। খুব শিগগিরই আমরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান থেকে সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডি অভিমুখে পদযাত্রা করে প্রতিবাদ জানাবো।’
সুত্র বি বার্তা