আরও তিন পোশাক কারখানার বেতন বিকাশে
পক্ষকাল সংবাদ-
কারাখানা তিনটি হচ্ছে-ডিজাইনার ফ্যাশন, এ অ্যান্ড ই বাংলাদেশ এবং তারা গ্রুপ।
বুধবার রাতে রাজধানীর আমারি হোটেলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের সঙ্গে এই তিন প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয়েছে বলে বিকাশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠান তিনটির ১২ হাজার কর্মী তাদের বেতন পাবেন বিকাশে।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) কামাল কাদীর, ডিজাইনার ফ্যাশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জসীম উদ্দিন, এ অ্যান্ড ই বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এঞ্জেলো লিয়ানাগে এবং তারা গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান তারা স্পিনিংয়ের হেড অফ ফিন্যান্স ইয়াকুব আলী ও এনায়েতপুর স্পিনিংয়ের ডিজিএম মুশফেকুজ্জামান।
বর্তমানে দেশের ১৮০টি পোশাক কারখানার দুই লাখ কর্মী বিকাশে তাদের বেতন পাচ্ছেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচলিত পদ্ধতিতে নগদ টাকায় গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন দেওয়া সব পক্ষের জন্যই ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বেতন পরিশোধের দিনে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়, অপচয় হয় শ্রমিকদের কর্মঘন্টাও। অনেক কারখানাই তাই বিকাশের মত ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজে, কম সময়ে, কম খরচে বেতন পরিশোধ ব্যবস্থা চালু করেছে।
বেতন পরিশোধ ব্যবস্থায়ও এসেছে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা। ডিজিটাল এই ব্যবস্থায় সমস্ত লেনদেনের রেকর্ড থাকায় কোথাও কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলেও তা সহজেই দূর করা যায়।
শুধু সহজে বেতন পাওয়াই নয়, কর্মীরা বেতন পাওয়ার সাথে সাথে বিকাশ একাউন্টের টাকা অন্য বিকাশ একাউন্টে পাঠানো, মোবাইলের এয়ারটাইম কেনা, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করা কিংবা বিভিন্ন দোকানে পেমেন্ট করা সহ নানান সেবা নিতে পারছেন।
এছাড়াও সারাদেশের দুই লাখের বেশি বিকাশ এজেন্টের যে কোন পয়েন্ট থেকে প্রয়োজনে ক্যাশ আউটও করতে পারছেন, এমনকি একাউন্টে টাকা জমা রেখে স্বল্পমাত্রায় মুনাফাও অর্জন করতে পারছেন তারা।
কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই সহজে এবং সঠিক ভাবে একাউন্টে বেতন পাওয়া ও তা ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বিকাশের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।