শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » আবারও রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি করছে বাংলাদেশ
আবারও রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি করছে বাংলাদেশ
পক্ষকাল সংবাদ-
বাংলাদেশ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি) প্রকল্পের জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম সরবরাহ চুক্তি করতে পারে। সাউথ এশিয়ান মনিটর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে সরকারি ক্রয় বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পর একটি চুক্তির খসড়া মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
কার্যবিবরণীর কথা উল্লেখ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, মতামত পাওয়ার পর বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন (বিএইসি) আগামী সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে ইউরেনিয়াম সরবরাহের চুক্তি করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএইসি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর আগে গত ১৯ জুন মন্ত্রিসভা কমিটি আরএনপিপির জন্য পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব অনুমোদন করে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান টিভিইএল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ২৪০০ মেগাওয়াট আরএনপিপির পুরো জীবনকাল জ্বালানি সরবরাহ করে যাবে। এই প্রকল্পের দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট করে।
২০১১ সালে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে যে আন্তঃসরকার চুক্তি হয় তাতে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পুরো জীবনকালের জন্য রাশিয়া থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কিনতে হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রত্যেক ইউনিটে প্রয়োজনীয় মোট পারমাণবিক জ্বালানির এক-তৃতীয়াংশ প্রতি ১৮ মাস পর পর রিলোড করতে হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় রিলোড বিনামূল্যে করে দেবে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবার জ্বালানি রিলোডের খরচ পড়বে ৬২ মিলিয়ন ডলার।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় যে, পারমাণবিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা প্রতি কেজি ইউরেনিয়ামের দাম পড়বে ৫৫০ ডলার এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই দাম বহাল থাকবে।
তবে জ্বালানির দাম প্রতি ১০ বছর পর পর পর্যালোচনা ও পুননির্ধারণ করা হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। কেন্দ্রের কার্যকরি জীবনকাল ৫০ বছর ধরা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা ও মস্কো পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের ব্যাপারে একটি প্রস্তাবিত চুক্তি সই করে।
১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মাণাধীন আরএনপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা রোজাটমকে নিযুক্ত করে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে রোজাটম ইতিমধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিজাইনের পেছনে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
আরএনপিপির প্রথম ইউনিট ২০২২ ও দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে চালু হবে বলে প্রাথমিকভাবে উল্লেখ করা হয়। রোজাটমের প্রতিনিধি জানান যে, প্রথম পারমাণবিক চুল্লি বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে ২০২০ সালে।