শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | রাজনীতি » নারী-শিশু ধর্ষক-নিপীড়ক-হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের বিক্ষোভ
নারী-শিশু ধর্ষক-নিপীড়ক-হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের বিক্ষোভ
পক্ষকাল প্রতিবেদক _শুক্রবার মহিলা ফোরাম এর উদ্যোগে১৯ জুলাই সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের
সামনে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সাধারণ
সম্পাদক শম্পা বসুর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দিলরুবা নূরীর
পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহিলা ফোরাম এর ঢাকা নগর শাখার সদস্য রুখসানা আফরোজ
আশা, নারীনেত্রী ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী, জেসমিন আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর
শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তা বাড়ৈ।
বক্তাগণ বলেন, সারাদেশে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন পত্রিকা
খুললেই খুন-ধর্ষণ-অপহরণ-নির্যাতনের ঘটনা। একটি নির্যাতনের ঘটনা বিভৎসতায়, বর্বরতায়
আগেরটিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও যেন গাঁ সওয়া হয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম ৬
মাসে ২হাজার ৮৩জন নারী-শিশু ধর্ষণ-হত্যা-যৌন নিপীড়ন-উত্তক্তকরণসহ নানাধরনের নির্যাতনের
শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার ১১৩জন ও ধর্ষণ করা হয়েছে ৭৩১জনকে। বিশেষভাবে
শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। এই শিশুদের কাউকে খেলতে গেলে, কাউকে
চকলেটের লোভ দেখিয়ে, কাউকে লিপিস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণের পর হত্যা করা
হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, কন্যা শিশুদের একটি স্বাভাবিক শৈশব
পাওয়াটাই অলীক কল্পনায় পরিনত হয়েছে।
বক্তাগণ বলেন, আবার এসকল নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা করা হচ্ছে,
হত্যা করা হচ্ছে। ফেনীর নুসরাত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল তাই তাকে পুড়িয়ে মারা হলো।
আবার বরগুনার রিফাত হত্যার ক্ষেত্রে দেখা যায়, হত্যায় বাধা দেওয়া স্ত্রী মিন্নিকে গ্রেফতার করে
রিমান্ডে নেওয়া হলো অথচ প্রকাশ্যে যারা খুন করলো তারা সবাই এখনো গ্রেফতারই হয়নি।
খুনীদের থেকেও কি মিন্নি বড় অপরাধী হয়ে গেল? নাকি যারা নয়ন বন্ডকে তৈরি করেছে সেই
মাদক ব্যবসায়ী-সন্ত্রাসী গডফাদারদের বাঁচাতে, বিচারকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে
মিন্নিকে অপরাধী বানানো হচ্ছে? বিচারব্যবস্থা কিভাবে ক্ষমতা ও টাকা দ্বারা নির্ধারিত হয়
তা বুঝা যায় নুসরাতের হত্যাকারীদের বাঁচাতে ১৬জন আইনজীবী আর নুসরাতের পক্ষে
আইনজীবী ১জন। স্বাক্ষীদের হুমকী দেওয়া হচ্ছে। বরগুনার মিন্নির পক্ষে কোন আইনজীবীই নেই!
বক্তাগণ বলেন, নারী-শিশু নির্যাতন এতো ভয়াবহ মাত্রায় আসার একটি অন্যতম কারণ বিচার না
হওয়া। নির্যাতনের যত ঘটনা দেশে ঘটে তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা হয় না। যে সব ক্ষেত্রে মামলা
হয় সেগুলোও বছরের পর বছর ঝুলতে থাকে। সহজে নিষ্পত্তি হয় না। দেখা যায়, যে মামলাগুলোর
নিষ্পত্তি হয়েছে তার মাত্র ৩ শতাংশের সাজা হয়েছে। যদিও গতকাল হাইকোর্ট নারী-শিশু
নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন; এখন দেখার বিষয় এটা
কতদূর কার্যকর হয়। কারণ হাইকোর্টের নির্দ্দেশকেও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষক লুটেরা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী
বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করতে কুণ্ঠা বোধ করছে না। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে;