শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » সাড়ে চারে কিনে ১০ টাকায় বিক্রি
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » সাড়ে চারে কিনে ১০ টাকায় বিক্রি
৩৫৩ বার পঠিত
শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাড়ে চারে কিনে ১০ টাকায় বিক্রি

পক্ষকাল সংবাদ-
দিন দিন মাছ-মাংসের দাম যখন বেড়েই চলছে, তখন আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রধান ভরসা ডিম; কিন্তু ডিমের দামও এখন লাগামহীন। গতবছরের জুলাইয়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ডজনে বিক্রি হওয়া এই খাদ্যপ্রাণটি এবার ১২৫ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ডিমের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মতে, দেশে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। খামারিদের দাবি-একটি ডিম তারা সাড়ে ৪ টাকায় ছাড়লেও ক্রেতা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকায়।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক ডজন ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহেও যা ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। হঠাৎ করেই এত দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তাদের একটাই জবাব-পাইকারি বাজারে দাম বেশি বিধায় আমাদেরও বাড়তিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার আড়তদারদের কাছে জানতে চাইলে তারা খামারিদের ওপর দোষ চাপান। কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁওয়ের কয়েক আড়তদার জানান, বর্তমানে খামারিরা ডিমের দাম বেশি রাখছেন। এ ছাড়া অনেক পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডিম উৎপাদন কমে গেছে। ফলে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সব মিলিয়ে ডিমের দাম বেশি পড়ছে।

খামারে ডিমের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে স্বীকার করলেও ভোক্তা পর্যায়ে এত বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে জানান বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘গত বছর খামারে প্রতিটি ডিম ছিল সাড়ে ৩ টাকা। তখন ভোক্তা পর্যায়ে দাম পড়ত সাড়ে ৫ থেকে ৬ টাকা। বর্তমানে খামার পর্যায়ে ডিমের দাম সাড়ে ৪ টাকা; কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা হয়ে গেছে। খামারে ডিমের দাম ১ টাকা বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে বছরে ১ হাজার ৪৯২ কোটি ২৪টি ডিম উৎপাদন হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ১৩ শতাংশ বেশি। তবে চাহিদার তুলনায় এ উৎপাদন কিছুটা কম।

এদিকে হু-হু করে দম বেড়েই চলেছে কাঁচামরিচের। সবজিও সাধারণের নাগালের বাইরে। টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণেই এ অবস্থা বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। গতকাল দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়, গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা কেজি। সবজির মধ্যে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, শসা ও গাজর। বাজারভেদে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহেও ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা ছিল।

গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ঝিঙা, ঢেঁড়স, উচ্ছে ও ধুন্দলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটলের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)