শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » কোরবানীর জন্য প্রস্তুত শান্তরাজ, গরুর ওজন ৫০ মণের বেশি
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » কোরবানীর জন্য প্রস্তুত শান্তরাজ, গরুর ওজন ৫০ মণের বেশি
৩১৯ বার পঠিত
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কোরবানীর জন্য প্রস্তুত শান্তরাজ, গরুর ওজন ৫০ মণের বেশি

পক্ষকাল সংবাদ-
দেখতে বিশাল আকৃতির হলেও তার স্বভাব শান্ত। তাই শখ করে মালিক নাম রেখেছেন শান্তরাজ। উচ্চতায় ছয় ফুট নয় ইঞ্চি। লম্বায় নয় ফুট তিন ইঞ্চি। ওজনে ৫০ মণের ওপরে।

নেত্রকোনার সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নে টেংগা গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি দুলাল মিয়ার খামারে দেখা মেলে এমন বড় গরুর। আসছে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে শান্তরাজকে। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় জমান দুলাল মিয়ার খামারের সামনে।

এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করেছন নেত্রকোনার পশু খামারিরা। জেলার বেশ ক’টি খামার ঘুরে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার সবচেয়ে বড় পশু এই শান্তরাজ। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারে বিদেশি গরুর লালনপালনে উদ্বুদ্ধও হচ্ছেন অনেক যুবক। মাত্র তিন বছর লালনপালন করে একটি ষাড় গরুর ওজন ৫০ মনেরও বেশি হয়েছে।
খামারি দুলাল মিয়া জানান, তিনি প্রায় ১৭ থেকে ১৮ বছর ধরে গরুর খামার করছেন। কিন্তু প্রায় এক যুগ ধরে তিনি দেশীয় খাবারে বিদেশি গরু লালনপালন করছেন। শান্তরাজ নামের এই গরুর প্রতিদিন দানাদার খাবার লাগে ৬০ থেকে ৭০ কেজি।

শান্তরাজ সব ধরনের ফলমুল খায়। এর মধ্যে টমেটো বেশি পছন্দ তার। ঘাস খাওয়ার জন্য বাড়ির পাশের জমিতেই নেফিয়া নামের ঘাসের একটি চাষি জমি করে নিয়েছেন তিনি। সরকাররিভাবেই প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে এর বীজ এনে চাষ করেছেন। দানাদার খাবার ভূমি খৈলসহ নানা কিছু দিয়ে তৈরি করা হয়।

বিশাল আকৃতির এই গরুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে গুরটির দাম উঠেছে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা।

প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার পশুর। কিন্তু কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ১ লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি পশু তৈরি করেছেন খামারিরা।

তবে সরকার বাইরে থেকে পশু আমদানি বন্ধ করলেই লাভবান হবেন দেশীয় খামারিরা। এমন প্রত্যাশা খামারিসহ সাধারণ মানুষের।

এদিকে কেউ যাতে পশু মোটাতাজাকরণে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সেদিকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক। সেই সঙ্গে ঈদবাজার মনিটরিংয়ে সার্বক্ষণিক টিম থাকবে বলেও জানান তিনি।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)