মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ » টরন্টোতে বাংলাদেশি পরিবারের খুনের দায়ে অভিযুক্ত মিনহাজ
টরন্টোতে বাংলাদেশি পরিবারের খুনের দায়ে অভিযুক্ত মিনহাজ
টরন্টো, ২৯ জুলাই- বৃহত্তর টরন্টোর মারখাম উপশহরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃত তরুন মিনহাজ জামান (২৩) এর বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার তাকে নিউমার্কেট আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির করা হয়। পরে তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়ে যায় পুলিশ। আগামী ২রা আগষ্ট মিনহাজকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।
ইয়র্ক পুলিশ জানায়, রোববার বেলা ৩টায় তাদের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় মারখামের ক্যাসেলমোর এভিনিউর ঐ বাড়িতে কিছু মানুষ আহত হয়ে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চারটি লাশ দেখতে পায়। এদের কেউ তখন আর বেঁচে নেই। তবে কে, কোন জায়গা থেকে ৯১১-এ কল দিয়েছিল তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে পুলিশ। নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মুনির তার স্ত্রী মুক্তা জামান, মুনিরের শাশুড়ি ও কন্যা মিকা (২১)। এর আগে বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ ২৩ বছর বয়সী মিনহাজ জামানকে আটক করে।
নিহত মুনির ও মুক্তা দম্পতি
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত মিনহাজ জামান নিহত মুনির ও মুক্তা দম্পতির একমাত্র পুত্র। প্রতিবেশিদের সূত্রে জানা যায়, মিনহাজ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে ড্রপআউট। সে স্বল্পভাষী এবং সবসময় শান্তশিষ্ট থাকতে ভালবাসতো। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ে সে। ঐদিন বাবা, মা, নানী ও ছোটবোনকে হত্যা করে সে ‘Perfect World Void’ নামক অ্যাডভেঞ্চার ফ্যান্টাসি গেম এর মাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়টি পোষ্ট করে।
স্ক্রিনশটে দেখা যায়, অভিযুক্ত মিনহাজ লিখেছে সে তার বাবা, মা, বোন এবং নানীকে হত্যা করেছে। সে গত এক বছর ধরে এ ধরনের পোষ্ট দিয়ে আসছিল তাই তার এ পোষ্টটি কেউ বিশ্বাস করেনি। পোষ্টে সে তার হতাশার কথাও লিখেছে। সে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট হওয়ার পর সে হতাশ হয়ে পড়ে এবং নাস্তিকতায় পেয়ে যায় তাকে। ঐ সময় থেকে সে এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করতে থাকে। মিনহাজ তার পোষ্টে হত্যাকান্ডের একটি ছবি দিয়ে লিখেছে, ‘প্রথমে আম্মু, তারপর নানী, তারপর বোন এবং সবশেষে আব্বুকে হত্যা করি। সবশেষে সে লিখে ‘পুলিশ এসে গেছে, গুডবাই।’
ধারণা করা হচ্ছে অপর প্রান্তে তার সাথে খেলতে থাকা বন্ধুটি পুলিশকে খবরটি জানায়। পরে পুলিশ বাড়ির সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে মিনহাজকে আটক করে।
এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ এবং কিভাবে হত্যা করা হয়েছে জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।