মেহেরপুর ও গাংনী হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী
পক্ষকাল ডেস্ক- মঙ্গলবার ৩ জন এবং আজ বুধবার সকালে আরো ৩’জনের শরীরে ডেঙ্গু চিহ্নিত হয়েছে। তাদেরকে মেহেরপুর ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন- মেহেরপুর শহরের কোর্টপাড়ার মান্নান মিয়ার ছেলে উৎস (২১)। সে ঢাকাতে পড়াশুনা করে। মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের সামছদ্দিন আলীর ছেলেে হৃদয় খান (১৮)। সে মহাখালিতে চাকুরী করে। গাংনী উপজেলার কাথুলী গ্রামের জিন্নত আলীর মেয়ে জান্নাতুন খাতুন (১৭)। সে এইচ এস,সি পরিক্ষায় পাশ করে ঢাকাতে কোচিং করত। এরা তিনজন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পাড়ার হোসেন আলীর স্ত্রী উম্বিয়া খাতুন (৩৫), চৌগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নাছিমা খাতুন (৫৫) ও কসবা গ্রামের বাসিন্দা ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুফিয়া খাতুন (৪৮)। তাদেরকে গাংনী হাসপাতালের একটি কেবিনে আলাদা করে মশারীর মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইউপি সদস্য সুফিয়া খাতুন জানান, তিনি গেল ২৬ জুলাই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে এক রোগীর কাছে রাত কাটিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তার জ্বর শুরু হয়। বুধবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা রিপোর্টে ডেঙ্গু পজিটিভ। এদিকে প্রথম দিন ভর্তি হওয়া উম্বিয়া খাতুন ও আজ ভর্তি হওয়া নাছিমা খাতুন গাংনীতেই থাকেন। তাই গাংনীতে এডিস মশা রয়েছে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা। কানে হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার সজিব উদ্দিন স্বাধীন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই আবার এটি এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, রাজনীতিক, সাংবাদিকসহ ও জনগণ সকলে মিলে যদি এ ব্যাপারে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব। এদিকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার স্ট্রিপ নেই। তাই ডেঙ্গু নিয়ে আতংক শুরু হয়েছে। একটি বেসরকারী ডায়গনস্টিক সেন্টারে স্বল্প স্ট্রিপ থাকলেও তা ফুরিয়ে যাবে দুয়েক দিনের মধ্যে। তবে ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে আজ দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে ব্রিফ করেন সিভিল সার্জন শামীম আরা নাজনীন। তিনি বলেন, দ্রুত ওষুধ চলে আসবে।
সুত্র -মেহেরপুর নিউজ