টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ডাকাতসহ নিহত চার
পক্ষকাল সংবাদ-
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিমের সহযোগীদের সাথে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন ‘ডাকাত’ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরেক ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যান।
শনিবার ভোররাতে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের নুরুল্লাহ ঘোনা পাহাড় ও মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গাঙ্গিয়ার কূল গ্রামের মৃত জহির মোল্লার পুত্র ইমরান মোল্লা(২৭), কুতুবদিয়ার নুরুচ্ছফা ডাকাতের ছেলে আয়ুব (৩৫), শাহজাহান বাদশাহর ছেলে জুনাইদ (৩২) ও টেকনাফ পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে মেহেদী হাসান (৩২)।
পুলিশ জানায়, ভোররাত সোয়া ৩টায় সদর ইউনিয়নের নুরুল্লাহ ঘোনা পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম তার দল নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবরে টেকনাফ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতিতে টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পাহাড় ঘিরে অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, এসআই মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব, কনস্টেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ডাকাতদল পালিয়ে গেলে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল হতে ৭টি দেশীয় অস্ত্র, ৫টি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলিসহ আয়ুব, জুনাইদ ও মেহেদী হাসানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে শনিবার রাত দেড়টারদিকে এসআই মসিউর রহমান ফোর্স নিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়ায় ডিউটির সময়ে একটি অটোরিকশা হতে গুলিবিদ্ধ ইমরান মোল্লাকে আটক করে। এসময় অস্ত্রসহ পালানোর সময় নোয়াখালী সোনাইমুড়ি থানার পশ্চিম এনায়েত পুরের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহীন (৩৮) ও টেকনাফ সদরের হাতিয়ার ঘোনার মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে মোঃ সিদ্দিককে (২৭) আটক করে। আটকরা খলিল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবা কিনে তা ইমরান মোল্লাকে খাওয়ালে সে মাতলামি করতে থাকে। এ সময় তাকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয় বলে আটকরা স্বীকার করে। পরে গুলিবিদ্ধ ইমরানকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, পৃথক ঘটনায় নিহতরা চিহ্নিত মাদক কারবারী, ডাকাত, অস্ত্রধারী এবং একাধিক মামলার আসামি ছিল। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।