রবিবার, ৪ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » পিনাক ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে এখনো আঁতকে ওঠেন যাত্রীরা
পিনাক ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে এখনো আঁতকে ওঠেন যাত্রীরা
পক্ষকাল সংবাদ-
আজ ৪ আগস্ট। ২০১৪ সালে এই দিনে পদ্মায় স্মরণকালের ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। সরকারি হিসেবে এই দুর্ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিখোঁজ হন ৬৪ জন।
উদ্ধার করা লাশের মধ্যে ২১ জনকে মাদারীপুরের শিবচর পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। আজও পিনাক ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে আতঙ্কে উঠেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি। ৪৯ জনের লাশ বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ২১ জনকে শিবচরের পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। রেখে দেওয়া হয় ২১ জনের ডিএনএ টেস্টের নমুনা। তবে এই পাঁচ বছরেও কেউ শনাক্ত করতে আসেনি লাশগুলোর।
এই রুট দিয়ে চলাচলকারী তোফাজ্জেল হোসেন জানান, এই রুট দিয়ে এখনো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে যাত্রী পারাপার করে লঞ্চ। দেখেও যেন কেউ দেখার নেই। এবারের ঈদে এই পদ্মা নদী পার দিতে হবে। তাই পুনরায় যেন আবার পিনাক ট্র্যাজেডি না দেখতে হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে প্রশাসনের।
এ ব্যাপারে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবির পর খুব সাবধানতার সঙ্গে লঞ্চ চলাচল করা হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধারণ ক্ষমতার বাইরে যাত্রী উঠানো হয় না। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন কোনো লঞ্চ চলাচল করতে দেওয়া হয় না।
আর শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ডিএনএ টেস্টের নমুনার সঙ্গে যদি কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে মৃতদেহ শনাক্ত করতে আসে, তাহলে তারা চাইলে দেহাবশেষ নিতে পারবেন।
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে পদ্মার দলিত সমাধি হয়েছিল দুই শতাধিক তরতাজা প্রাণ। যাতে কোনভাবেই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চ চলাচল না করে এমনটাই দাবি সাধারণ যাত্রীদের।