রবিবার, ৪ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » মিয়ানমার থেকে কোরবানির বিপুলসংখ্যক গরু আসছে বাংলাদেশে
মিয়ানমার থেকে কোরবানির বিপুলসংখ্যক গরু আসছে বাংলাদেশে
পক্ষকাল সংবাদ-
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারত থেকে প্রতি বছর গরু ঢুকলেও চলতি বছর সীমান্তে কড়া নজরদারির পাশাপাশি পশু আমদানিও বন্ধ রয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার থেকে আসছে বিপুলসংখ্যক গরু-মহিষ।
জানা গেছে, গত দুদিনে বৈধ পথেই দুই হাজার ২২৮ গবাদিপশু শাহপরীর দ্বীপ করিডরে এসেছে। গত দুদিনেই মিয়ানমার থেকে এসেছে দুই হাজার ২১২ গরু ও ৬১৬টি মহিষ। এর বিপরীতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা। আর ১০ হাজার ৯৫টি গরু-মহিষ এসেছে পুরো জুলাই মাসে।
অথচ গত বছরের এই সময়ে মিয়ানমার থেকে মাত্র ৫ হাজার গরু-মহিষ এসেছিল। অর্থাৎ এবার আমদানি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এ ছাড়া চলতি বছরের সাত মাসে এসব পশু থেকে রাজস্ব এসেছে দুই কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
এদিকে আমদানির পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বেপারিরা এসব গরু-মহিষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি দামে।
শুল্ক স্টেশন তথ্যমতে, বৈরী আবহাওয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতির কারণে বেশ কিছু দিন পশু আমদানি বন্ধ ছিল। তবে কোরবানি ঘিরে সমুদ্রপথে স্রোতের মতো গরু ও মহিষ আসছে।
টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান জানান, সমুদ্রপথে মিয়ানমার থেকে ট্রলারবোঝাই পশু আসতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখছেন বিজিবি সদস্যরা।
শনিবারও দুটি ট্রলারে প্রায় আড়াইশ গরু-মহিষ এসেছে আমদানিকারক মোহাম্মদ সোহেলের কাছে। তিনি বলেন, ‘দেশের চাহিদা পূরণে এসব কোরবানির পশু আমদানি করছি। তা ছাড়া ঈদ আসতে কয়েক দিন বাকি। এই সময়ের মধ্যে আরও কয়েক হাজার গরু-মহিষ আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে।’
পশু আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে সারাবছরই মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানি হয়ে থাকে। তবে ঈদুল আজহার সময় বাড়তি চাহিদা থাকায় অধিক গরু-মহিষ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। এখানকার গবাদিপশু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ সারাদেশে সরবরাহ হয়ে থাকে।