বুধবার, ৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিতের ঘোষণা পাকিস্তানের
ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিতের ঘোষণা পাকিস্তানের
পক্ষকাল ডেস্ক আগস্ট ৭, ২০১৯
রা বিলোপ ও জম্মু-কাশ্মীরের একটি প্রদেশ হিসেবে প্রায় স্বায়ত্ব শাসনের যে বিশেষ মর্যাদা ছিলো তা বাতিল করে সেটিকে সরাসরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণায় ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পাল্টা সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অফিসে বৈঠক করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। এর আগে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকেও দেশে ডেকে নিয়েছে পাকিস্তান।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক সাসপেন্ড বা স্থগিত করছে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও কমিয়ে ফেলছে এবং কুটনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব হ্রাস করছে। দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়ের পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
এছাড়া একই বৈঠকের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কারও করা হয়েছে। ওই বৈঠকেই ইসালামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয় বলে একটি সূত্রে খবর। যদিও সরকারি ভাবে সে কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জাতিসংঘ ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও নিয়ে যাবে পাকিস্তান। বস্তুত, ভারতের কাশ্মীর-সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যতটা সম্ভব কড়া পদক্ষেপের চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। এছাড়া ১৫ অগাস্ট পাকিস্তানে কালো দিন হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
পাকিস্তানের এই ঘোষণার পর নয়াদিল্লি এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ওই বৈঠকের পর মূলত পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাক সরকারের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেবে ইসলামাবাদ। বন্ধ করে দেবে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক বাণিজ্য। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যাস করা হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ইমরান খান ছাড়াও ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, মানবাধিকার মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা-সহ ইসলামাবাদ সরকারের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।